শামীম পাটোয়ারীর ব্যাটে রানের বান ডেকেছে বেশ কিছু ধরে। গেল মাসে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জিতেছে, তাতে তার অবদান ছিল বড়। এক ম্যাচে হয়েছিলেন ম্যাচসেরাও। এবার সে ছন্দটা বিপিএলেও টেনে আনলেন তিনি, মঙ্গলবার খুলনার বিপক্ষে খেলেছেন ৩৮ বলে ৭৮ রানের ইনিংস।
এরপরই শামীম জানালেন তার পারফর্ম্যান্সের রহস্য। এবি ডি ভিলিয়ার্সের কনুইয়ের অবস্থান অনুসরণ করেই এমন বিধ্বংসী রূপে ফেরত এসেছেন তিনি, জানালেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শামীম বাংলাদেশ দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন রীতিমতো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। তার আগে সবশেষ ম্যাচটা তিনি খেলেছিলেন ২০২৩ সালে।
তবে মাঝের সময়টা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। এইচপি দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন তখনই।
বাঁহাতি এই ব্যাটারের বড় শক্তির জায়গা উইকেটের পেছনে লেগ সাইডে, স্কুপ আর সুইপে সিদ্ধহস্ত তিনি। তবে উইকেটের সামনে তার দুর্বলতা বেরিয়ে আসে বেশ। তবে উইন্ডিজের মাটিতে ভিন্ন এক রূপে দেখা যায় তাকে। উঁচু ব্যাকলিফট আর টেকনিকে খানিকটা পরিবর্তন আনেন তিনি, তাতেই সফলতার স্বাদ পান তিনি।
ক্রিকবাজকে সম্প্রতি জানিয়েছেন তার বদলে যাওয়ার রহস্য। তিনি বলেন, ‘হাই ব্যাকলিফটটাকে আরামদায়ক মনে হচ্ছিল আমার কাছে, সেটাই বেঁচে নিয়েছি। এটা আমার কনুইটাকে সোজা রাখতে সাহায্য করে। এবি ডি ভিলিয়ার্সকে দেখে এটা করতে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ডি ভিলিয়ার্সের মতো শট খেলতে চাই, যেভাবে তিনি ব্যালেন্স ধরে রাখতেন, সেটার মতো করে। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এইচপির হয়ে খেলতে গিয়ে আমি হাই এলবো পজিশনটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। আমি তার অনেক ভিডিও দেখেছি ইউটিউবে, অস্ট্রেলিয়া গিয়ে আমার মনে হলো যদি আমার কনুই সোজা থাকে, তাহলে আমি আরও ভালো হিট করতে পারব, সেটা করতে আমার ব্যাকলিফট দরকার।’
শুধু উইকেটের পেছনে লেগ সাইডেই পারদর্শী, এই তকমা নিয়েও খুব একটা ভাবেননি শামীম। তিনি বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে ভাবিই না। হ্যাঁ আমার গায়ে একটা তকমা লেগে গিয়েছিল। তবে তাদের ভুল প্রমাণ করেছি আমি। প্রমাণ করেছি যে আমি মাঠের সব দিকেই ভালো শট খেলতে পারি।’