ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচটা শ্রীলংকার হাতের মুঠোয় ছিল বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না। দেখেশুনে খেললেই জয়ের বন্দরে তরী ভেড়াতে পারত তারা। কিন্তু বিনা উইকেটে ১২১ রান থেকে অভাবনীয় এক ব্যাটিং ধসে স্বপ্ন চূর্ণ হয়েছে তাদের। এতে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটিতে ৮ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
অথচ মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটেই ১২১ রান তুলে ফেলেছিল দলটি। সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা, ফিফটির হাতছোঁয়া দূরত্বে ছিলেন কুশল মেন্ডিস।
কিন্তু ১৪তম ওভারে যেন লংকানদের ওপর শনি ভর করল। ওভারের শেষ চার বলের তিনটিতেই উইকেট খোয়াল দলটি। যার শুরুটা ৪৬ রান করা কুশল মেন্ডিসকে দিয়ে। এরপর কোনো রান না করেই ফিরে যান কুশল পেরেরা এবং কামিন্দু মেন্ডিস। জ্যাকব ডাফির করা ঘটনাবহুল সেই ওভারে তারা তিনজনই ধরা পড়েন উইকেটকিপার মিচেল হে-র গ্লাভসে।
নিসাঙ্কা আরও কিছুটা সময় লড়াই চালিয়ে যান, তবে যোগ্য সঙ্গের অভাবে শেষ পর্যন্ত ৯০ রানে থামেন তিনি। কুশল মেন্ডিস এবং নিসাঙ্কা ছাড়া দলটির আর কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরও ছুঁতে পারেননি। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৪ রানেই থামতে হয় তাদের।
ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া কিউই পেসার ডাফি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান। দুটি করে উইকেট যায় ম্যাট হেনরি এবং জাকারি ফুকসের ঝুলিতে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা কিউইরা ড্যারিল মিচেল এবং মাইকেল ব্রেসওয়েলের জোড়া ফিফটিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেট খুইয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৭২ রান।
৪২ বলে ৪ চার এবং ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন মিচেল। ৩৩ বলে সমান ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫৯ রান আসেন ব্রেসওয়েলের ব্যাটে।
লংকান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়ে কিউইদের নাগালের মধ্যে রাখতে ভূমিকা রাখেন বিনুরা ফার্নান্দো, মহীশ থিকশানা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৭২ রানও পাহাড়সম মনে হয় লংকানদের কাছে।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। আগামী ৩০ ডিসেম্বর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে-ই সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।