জামাল ভূঁইয়ার পর তারেক কাজী হয়ে জাতীয় দলে সবশেষ প্রবাসী ফুটবলার হওয়ার পথে হামজা চৌধুরী। তবে বাকিদের থেকে হামজাকে নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের আগ্রহ অনেকটাই বেশি। যার পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে। হামজাই যে একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিদেশি ফুটবলার যার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটির হয়ে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার অনুমতি দিয়েছে ফিফা। এমন খবরে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসিত বাংলাদেশি ফুটবল প্রেমীরা। উচ্ছ্বসিত বাফুফের নতুন প্রেসিডেন্ট তাবিথ আউয়ালও। হামজাকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা তার। হামজাকে দেখে অন্য প্রবাসীরাও দেশের হয়ে খেলতে অনুপ্রাণিত হবেন বলে আশা বাফুফে প্রধানের।

হামজার অন্তর্ভুক্তিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা জানিয়ে বাফুফে প্রধান বলেন, ‘আশা করছি, হামজা চৌধুরীর মতো অন্য প্রবাসী যারা খেলছেন, তাদের চিহ্নিত করে আমরা বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারব।’

হামজার অন্তর্ভুক্তি জয়ের খিদে বাড়াবে বিশ্বাস তাবিথের, ‘হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন, আমরা অবশ্যই খুশি। হামজার মতো খেলোয়াড় কিংবা সামনে প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন, তারা জাতীয় দলের মান বাড়াবেন। হামজা অবশ্যই ব্র্যান্ড। তবে আমরা এটা নিয়ে আপাতত ভাবছি না। আমরা জাতীয় দলকে জিততে দেখতে চাই। দলকে জেতার মানসিকতায় নিয়ে যেতে চাই। ব্র্যান্ডটা সবাইকে নিয়েই তৈরি করতে পারব বলে আশা করি।’

হামজাকে নিয়ে তাবিথ আরও বলেন, ‘দল অনেক শক্তিশালী হবে, এটা নিয়ে সন্দেহ নেই। হামজা যেহেতু ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, তাই দলের রক্ষণটা অনেক গোছানো যাবে। পাশাপাশি অবশ্য আক্রমণভাগও ভালো হতে হবে। প্রবাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনেকেই ভালো করছেন। আমি বিশ্বাস করি, হামজা তাদের অনুপ্রেরণা হবেন।’

আগামী মার্চে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ আছে বাংলাদেশের। হামজা সে ম্যাচেই দেশের জার্সিতে অভিষিক্ত হবেন বলে আশা সবার।