ব্যাটিংয়ে চরম ব্যর্থ লিটন দাস। বছরজুড়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে আছেন জাতীয় দলের এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
চলতি বছরে টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলে ৩৯ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন লিটন। এই ৩৯ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি আর দুটি ফিফটির সাহায্যে ১৭.৭১ গড়ে টেনেটুনে মাত্র ৬৯১ রান করতে পেরেছেন জাতীয় দলের এই ওপেনার।
আরেকটু খোলাসা করলে- ৯ টেস্টে অংশ নিয়ে ১৬ ইনিংসে ব্যাট করে রাওয়ালপিন্ডিতে সেঞ্চুরি (১৩৮) আর ফিফটির (৫৬*) সাহায্যে ২৪.৫৬ গড়ে করেছেন মাত্র ৩৯৩ রান।
বছরজুড়ে ১৮টি টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়ে এক ফিফটিতে ১৬.২২ গড়ে করেছেন মাত্র ২৯২ রান।
চলতি বছরে লিটন সবচেয়ে বেশি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটে। ৫টি ওয়ানডেতে অংশ নিয়ে লিটন করতে পেরেছেন মাত্র ৬ রান। সবশেষ ৭ ওয়ানডে ম্যাচে তার সংগ্রহ (৬, ১, ০, ০, ২, ৪, ০) মাত্র ১৩ রান।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া লিটনকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছে। নেতৃত্ব পাওয়ার পরও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি লিটন।
আজ সেন্ট ভিনসেন্টে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। ব্যাট হাতে শূন্য রানে আউট হলেও উইকেটের পেছনে অনন্য নজির গড়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষকদের মধ্যে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পাঁচ ডিসমিসালের নজির গড়েছেন লিটন।
নতুন এই নজির গড়ার মধ্য দিয়ে লিটন ছাড়িয়ে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ডিসমিসাল করেছিলেন মুশফিক।
সেন্ট ভিনসেন্টে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উইকেটের পিছনে লিটন ছিলেন দুর্দান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০ উইকেটের মধ্যে অর্ধেকেই অবদান তার। ৪টি ক্যাচ ধরেছেন এবং একটি স্ট্যাম্পিং করেছেন। তার এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় শুরু করল টাইগাররা।
এদিন ৬ উইকেটে ১৪৭ রান করেও শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ আর হাসান মাহমুদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৭ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।