ছবি: সংগৃহীত
আজ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ১২তম বিবাহবার্ষিকী। ১২/১২/১২ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এক যুগের সংসারে তিন সন্তানের বাবা-মা এ দম্পতি।
এর আগে ফেসবুকে টুকটাক পরিচয় হয় দুজনের। ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে প্রথমবার দেখা হয়েছিল সাকিব আল হাসান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের। প্রথম সাক্ষাতে দুজনেরই একে অপরকে ভালো লেগে যায়। একটা সময় ভালো বন্ধু হয়ে উঠেন তারা । এরপর এই বন্ধুত্ব রূপ নেয় প্রণয়ে। অবশেষে প্রেম পরিণীতি পায় বিয়েতে। আর ১২.১২.১২-তে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ যুগল।
এক যুগ আগে এমন ম্যাজিক তারিখেই বিয়ে করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। পাঁচতারকা 'হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল'-এ (তৎকালীন রূপসী বাংলা) হয়েছিল দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা এই বিয়ের আয়োজন। তাদের বিয়ের বয়স দেখতে দেখতে ১২ বছর পেরিয়ে গেছে। একসঙ্গে পথ চলার এক যুগ পার করে ফেলেছেন দুজনে। তাদের কোলজুড়ে এসেছে তিন সন্তান।
আজ ১২ ডিসেম্বর বিবাহবার্ষিকীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাকিবপত্নী। শিশির লিখেছেন—যখন এটা লিখছি ঘড়ির কাটায় ঠিক রাত ১২টা ১২ মিনিট। ১২ বছর আগে ১২/১২/১২ তারিখ আমরা নিজেদের রূপকথার গল্পটা শুরু করেছিলাম। আমাদের প্রথম দেখা থেকে শুরু আমাদের বিয়ে এবং আলহামদুলিল্লাহ, সবচেয়ে সুন্দর একটা পরিবার গঠনের মাধ্যমে। হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আর হৃদয়ের বন্ধনে থেকে সময়গুলো দুজনে পার করেছি। প্রতিশ্রুতি ছিল একসঙ্গে সারাজীবন থাকার, কখনো কেউ কাউকে ছেড়ে না যাওয়ার। আমার প্রতি তোমার ভালোবাসার কোনো তুলনাই হয় না। আর প্রতিটা দিনের জন্য আমি তোমাকে ভালোবাসি। নিজেদের জন্য ১২তম বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আলহামদুলিল্লাহ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সাকিব-শিশির দম্পতির ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান আলাইনা হাসান। আলাইনার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে জন্ম হয় মেয়ে ইরাম হাসানের। এরপর ২০২১ সালের মার্চে ছেলে ইজাহ আল হাসানের জন্ম হয়।
পরিবার নিয়ে এখন বেশিরভাগ সময়ই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন সাকিব। অবশ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা ভালো কাটছে না টাইগার এ অলরাউন্ডারের। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাকিবের দেশে ফেরাটাই অনেকটা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। এমনকি নিজের ক্যারিয়ারও থমকে গেছে। এরই মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন তিনি।