আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ ঘিরে পাকিস্তানের স্কোয়াড চূড়ান্তকরণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সিরিজে তিনটি ওয়ানডে, তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে দুদল। যা ১০ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

পিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এই সিরিজের ওয়ানডে স্কোয়াডে উল্লেখযোগ্য কিছু খেলোয়াড়ের প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে। সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ফের দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন। পাশাপাশি পেস আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করতে নাসিম শাহ এবং শাহিন আফ্রিদিরও ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্য ফখর জামানকে সাদা বলের দলে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে টেস্ট সিরিজের জন্য ওপেনার ইমাম-উল-হকের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। টেস্ট খেলোয়াড়দের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজনেরও পরিকল্পনা চলছে। যাতে প্রস্তুতি আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়।

তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে পিসিবির। এটি দলের ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রতিভা আবিষ্কারের একটি কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে সফরে রয়েছে পাকিস্তান দল। স্বাগতিক দলটির বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজ শেষ হওয়ার পর অথবা তাদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য অফিসিয়াল স্কোয়াড ঘোষণা করা হতে পারে বলেই জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সূচি

১০ ডিসেম্বর – প্রথম টি-টোয়েন্টি, ডারবানের কিংসমিড

১৩ ডিসেম্বর – দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি, সেঞ্চুরিয়ন

১৪ ডিসেম্বর – তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, জোহানেসবার্গ

১৭ ডিসেম্বর – প্রথম ওয়ানডে, পার্ল

১৯ ডিসেম্বর – দ্বিতীয় ওয়ানডে, কেপটাউন

২২ ডিসেম্বর – তৃতীয় ওয়ানডে, জোহানেসবার্গ

২৬-৩০ ডিসেম্বর – প্রথম টেস্ট, সেঞ্চুরিয়ন

৩-৭ জানুয়ারি – দ্বিতীয় টেস্ট, কেপটাউন

পূর্ণাঙ্গ এই সিরিজটির জন্য অপেক্ষা করছেন পাকিস্তান ক্রিকেটপ্রেমীরা। যা দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের একটি বড় সুযোগ।