ঋশভ পান্তের ‘জীবন বাঁচানোর’ উপহার পেলেন দুই যুবক
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
![ঋশভ পান্তের ‘জীবন বাঁচানোর’ উপহার পেলেন দুই যুবক](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/11/24/8-(12)-6742d68295c8d.jpg)
সংগৃহীত
ভারতীয় ক্রিকেটে ঋশভ পান্তের ফেরা যেন ফিনিক্স পাখির গল্পকেও হার মানায়। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় নিশ্চিত মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এখন ক্রিকেটের ২২ গজে সরব হয়েছেন পান্ত। তবে তার এই ফেরায় জড়িয়ে আছে দু’জনের নাম। যারা সেদিন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা গাড়ির ভেতর থেকে পান্তকে বের না করলে হয়তো ২২ গজে কখনোই ফেরা হতো না এই তারকা ব্যাটারের।
যারা সেদিন দূত হয়ে জীবন বাঁচিয়েছেন; তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই পান্তের। প্রাণ বাঁচানো সেই দুই যুবক রজত কুমার এবং নিশু কুমারকে এবার কৃতজ্ঞতার স্বরূপ উপহার দিয়েছেন পান্ত। ওই দুই তরুণকে দুটি স্কুটি উপহার দিয়েছেন পান্ত।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রীড়া চ্যানেল ‘সেভেন ক্রিকেট’ পান্তের দুর্ঘটনা নিয়ে এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে। পান্তকে উদ্ধারকারী দুজনের সঙ্গেও কথা বলেছে সেভেন ক্রিকেট। যেখানে তারা জানিয়েছে, রজত-নিশু ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী এক ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। এক্সপ্রেসওয়েতে দামি গাড়ি আছড়ে পড়তে দেখে ভারতীয় তারকার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন তারা। সেই মুহূর্তে পান্তকে জ্বলন্ত গাড়ি থেকে বের করে আনার পর স্থানীয় সাকশাম হাসপাতালে তাদের ভর্তি করার সিদ্ধান্তটি ছিল সবচেয়ে কার্যকরী।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের দিল্লি-দেরাদুন হাইওয়েতে রুরকির কাছে গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এ সময় নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন পান্ত। গাড়িটিতে আগুন লেগে গেলে পান্তেরও শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। পান্তের ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় ও মাথায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়। ভয়াবহ সেই অবস্থার কথা জানিয়েছেন পান্তের শৈশবের কোচ দেবেন্দর শর্মা।
সেভেন ক্রিকেটকে দেবেন্দর শর্মা বলেন, ‘তার শরীর থেকে মাংসপেশি খুলে বেরিয়ে এসেছিল। ফলে ঘাড়ের পেছন থেকে পিঠের নিম্নাঙ্গের হাড় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল তার। এই অবস্থায় ব্যান্ডেজ লাগাতে ৫ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। পুরোটা সময়ে দু’বার সংজ্ঞাহীন করতে হয় পান্তকে। ওর গোটা শরীর ছাড়িয়ে নেওয়া কাঠের খণ্ডের মত মনে হচ্ছিল।’
ভয়ঙ্কর সেই গাড়ি দুর্ঘটনার পরদিন সকালেই পান্তের মা ছুটে গিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী বিধায়ক উমেশ কুমারের কাছে। সেই বিধায়ক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, দুজন ব্যক্তি পান্তের উদ্ধারে প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। ঠিক যেন ঈশ্বরের দূত হয়ে ওরা হাজির হয়েছিল। ঋষভের জীবন ওরা বাঁচিয়ে দিয়েছে। দেরাদুনে ওদের নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত–ই ওকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।