সংগৃহীত
বাংলাদেশ গেমসের দশম আসর বসবে আগামী বছর। শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনির্বাচিত সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা শেষে এ তথ্য জানান সহসভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন।
এ ছাড়া ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে যুব গেমস। দেশজুড়ে এই দুটি আসরের আয়োজন করে বিওএ। গত পাঁচটি বাংলাদেশ গেমসের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘বিওএ আগামী বছর বাংলাদেশ গেমসের আয়োজন করবে। সামনে আমাদের নির্বাহী কমিটির সভায় গেমস সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে।’
১৯৭৮ এ শুরু হওয়া বাংলাদেশ গেমস ২০০২ সালের পর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। ২০১৩ সাল থেকে আবার এই গেমস শুরু হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে যুবাদের জন্য আলাদা গেমসও আয়োজন করছে বিওএ-দুই বছর পরপর। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ গেমস ও ২০২৬ এ যুব গেমস আয়োজনের আলোচনা হয়েছে সভায়। বশির আহমেদ যোগ করেন, ‘আমাদের সভাপতি খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। বাংলাদেশের খেলাধুলার মানোন্নয়নের জন্য অলিম্পিক ভিলেজ প্রয়োজন। বিওএ এই সংক্রান্ত একটি কমিটি করবে। ভিলেজের জন্য সরকারের সহায়তা চাইব। না পেলে নিজেদের অর্থায়নে ভিলেজ করব।’
অলিম্পিক ভিলেজ ছাড়াও বিওএ সভাপতি ফেডারেশন ও অনুশীলনের অবকাঠামোর বিষয়ে জোর দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিওএ সহ-সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সভাপতি স্টেডিয়াম এলাকায় খেলাধুলা করেছেন। উনার স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। খেলোয়াড়দের সুন্দর পরিবেশ ও অনুশীলনের জায়গা দেওয়া প্রয়োজন। ফেডারেশনগুলোর সমস্যা নিয়ে অলিম্পিক, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও মন্ত্রণালয় বৈঠক করবে খেলার মান উন্নয়নের জন্য।’
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনেও রদবদল হয়েছে। অনেক ফেডারেশনের কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন আবার অনেককে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও সংকটে। এই প্রসঙ্গে বিওএ সহ-সভাপতি বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আইওসি চার্টার অনুযায়ী চলবে। ফেডারেশনের পদে না থাকলেও অলিম্পিকে নির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
সম্প্রতি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নয়টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছে। অন্য ফেডারেশনগুলোতেও অ্যাডহক কমিটি গঠন হবে। বিওএ ফেডারেশনের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত হয়। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিওএ নির্বাহী কমিটির মেয়াদ।
ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির প্রতিনিধি দিয়ে বিওএ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সহ-সভাপতি বলেন, ‘এটা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। আমরা তিন চার মাস পর এজিএম করব। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কোনো বিষয়ে অস্পষ্টতা ও সমস্যা হলে আইওসি এবং ওসির নির্দেশনা গ্রহণ করব।’