ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গত কয়েক মৌসুমে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছেন লোকেশ রাহুল। দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু গত আসরে প্লে-অফে পৌঁছার আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল লখনৌয়ের। তবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ম্যাচে মাঠে যা ঘটেছিল তা অকল্পনীয়। সেদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে লখনৌ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে। যে পিচে রান তুলতে লখনৌ হিমশিম খেয়েছিল, সেখানে হায়দরাবাদ সেই টার্গেট তুলে নেয় মাত্র ৯.৪ ওভারে। তাও ১ উইকেট হারিয়ে।
মাঠে এরকমভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা আর স্থির থাকতে পারেননি। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল কলকাতার শিল্পপতিকে।
স্টার স্পোর্টসে সেই ঘটনার অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে লোকেশ রাহুল বলেছেন, সেদিন যাই ঘটুক না কেন, তা মোটেই সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিল না। এমন ঘটনার সঙ্গে ক্রিকেট মাঠে কেউই যুক্ত থাকতে বা দেখতেও চাইবে না। হ্যাঁ পুরো ঘটনা দলের মধ্যে প্রভাব ফেলেছিল।
আইপিএলের আসন্ন আসরে লখনৌ এবার রিটেনশনে ধরে রাখেনি লোকেশ রাহুলকে। কেন কয়েকজনকে ধরে রাখা হলো, কয়েকজনকে আবার রিলিজ করা হলো- সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে দলটির মালিক গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, প্রথম রিটেনশন ছিল একদম অটোমেটিক চয়েজ। নিকোলাস পুরানকে বাছতে মাত্র দু-মিনিট সময় লাগে আমাদের। সেরকম ক্রিকেটারদের রাখতে চেয়েছি আমরা, যাদের জেতার মানসিকতা রয়েছে। যারা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির আগে দলের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দেবে।
লোকেশ রাহুল আরও বলেছেন, আইপিএল ম্যাচে সব সময় চাপ থাকে। গুজরাট এবং চেন্নাই সুপার কিংসের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, হার কিংবা জয় যে কোনো পরিস্থিতিতেই দলের ভারসাম্য বজায় থাকে। ড্রেসিংরুম একদম শান্ত থাকে ওদের। একজন ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এটা যদি হয়, তাহলে সব ক্রিকেটার নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারে।
ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেছেন, আমরা ড্রেসিংরুমে ভালো একটা পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছি। দলের মধ্যে দারুণ একটা পরিবেশ তৈরিও হয়েছিল। তবে কখনো কখনো ভালো কিছুর জন্য সরে যাওয়াটা জরুরি।