নোমান আলী/ফাইল ছবি
ইংল্যান্ডকে দিনে-দুপুরে দুঃস্বপ্ন দেখানো স্পিনার নোমান আলী অক্টোবর মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। আরেক স্পিনার সাজিদ খানের সঙ্গে তার জুটিতে সৃষ্ট ‘ঘূর্ণি-ঝড়’-এই কুপোকাত হয় ইংল্যান্ড।
মাসসেরার দৌড়ে নোমানের সঙ্গী ছিলেন কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গতিতারকা কাগিসো রাবাদা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল ভুলে যাওয়ার মতো। মুলতানে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল দলটি।
এমন খাদের কিনারা থেকে ইংল্যান্ড সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্ট বিব্রতকর সে হারের পর নোমান-সাজিদের স্পিনেই পরেই দুই টেস্ট জিতে সিরিজের ফল পক্ষে আনতে সক্ষম হজয় দলটি।
এর মধ্যে নোমান সিরিজের শেষ দুই টেস্টে ১৩.৮৫ গড়ে নিয়েছেন ২০ উইকেট। দুই ম্যাচে নোমানের বোলিং পরিসংখ্যান– ১১/১৪৭ ও ৯/১৩০।
অবশ্য শুধু বল হাতেই যে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন তা নয়। তৃতীয় টেস্টে পাকিস্তান যখন ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে, তখন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানের লিড এনে দিয়েছিলেন তিনি।
মাসসেরার পুরস্কার জিতে সতীর্থদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নোমান। বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। সতীর্থদের কাছেও গভীরভাবে কৃতজ্ঞ; যারা আমার সেরাটা বের করে পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজি জিততে সহায়তা করেছে। দেশের হয়ে স্মরণীয় এমন জয়ে সঙ্গী হতে পারা অবশ্যই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।’