ছবি: সংগৃহীত
বয়স ৩৯ ছুঁইছুঁই। অবস্থান ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়। যে কারণে দু-চার ম্যাচ খারাপ গেলেই প্রশ্ন ওঠে- কবে অবসর নেবেন? গত কিছুদিন ধরেই এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহকে। ০, ১, ২, ৩ রানের ইনিংসের পর অবসর নিয়ে চাপ বাড়ছিল মাহমুদউল্লাহর ওপর। শঙ্কা জেঁকে বসেছিল স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া নিয়েও।
সেই মাহমুদউল্লাহ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে জবাব দিলেন সমালোচনার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের সময় ব্যাট হাতে নেমে খেললেন ৯৮ বলে ৯৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। যদিও তার সেই ইনিংস বাংলাদেশকে জেতাতে পারেনি। এরপরও মাহমুদউল্লাহর ওই ইনিংসে ভর করেই স্কোরবোর্ডে লড়াই করার রসদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। যে কারণে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের প্রশংসা কারতে কার্পণ্য করলেন না প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
৭২ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর উইকেটে আসেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ে নামার কিছুক্ষণ পরই কোমরে টান লাগে তার। ব্যথা নাশক ওষুধও খেতে হয়েছে তাকে। তবে মাঠ ছাড়েননি। দৌড়ে রান নিতে কষ্ট হলেও দলের জন্য তা অবলীলায় করে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। বাধা-বিপত্তি পেছনে ফেলে ৯৮ বলে করেছেন ৯৮ রান। যেখানে ৫২ রান তিনি দৌড়েই নিয়েছেন। বাউন্ডারি থেকে নিয়েছেন ৪৬ রান (৭ চার ও ৩ ছক্কা)। যার প্রশংসা করতে ভোলেননি সিমন্স।
বাংলাদেশ ৫ উইকেটে হারলেও ম্যাচ শেষে আলাদাভাবে মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা করেছেন সিমন্স। বলেন, ‘দারুণ ইনিংস। প্রথম দুই ম্যাচে সে রান পায়নি। তবে আজ (গতকাল) এক প্রান্ত আগলে খেলে গেছে। সে থিতু হওয়ার পর বেশ সহজেই রান তুলেছে। আমি মনে করি এটা দারুণ ইনিংস ছিল।’
শারজায় কঠিন উইকেটে পঞ্চম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৮৮ বলে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ। শারজায় যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এই জুটির প্রশংসা করে সিমন্স বলেন, ‘তাদের (মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ) জুটিটা ভালো হয়েছে। শুরুতে ভালোই করছিল। উইকেটে থিতু হয়ে গেল। জুটি গড়তে গেলে এমনটা অনেক সময় হয়। সে (মিরাজ) যখন ধীর গতিতে খেলছিল, মাহমুদউল্লাহ মেরে খেলেছে।’