মাহমুদউল্লাহর বীরত্বে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
মাহমুদউল্লাহ/ফাইল ছবি
৭২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দল যখন আরও একটা ব্যাটিং ধস দেখছে, ঠিক তখনই অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে হাল ধরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত লড়াকু এক ইনিংসে বাংলাদেশকে এনে দিলেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। তার সেঞ্চুরি এবং মিরাজের ফিফটিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৪ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। চোটের কারণে শান্তর অনুপস্থিতি অধিনায়ক মিরাজের নেওয়া সে সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেছেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৩ রান।
কিন্তু হঠাৎ কোনো বাওবাতাসে ৫৩ রান থেকে ৫৮ রানে পৌঁছাতেই দুই ওপেনার সৌম্য (২৪), তানজিদ (১৯) এবং তিনে নামা জাকির হাসানের (৪) উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। সিরিজজুড়ে ব্যাট হাতে ফর্ম হাতড়ে খোঁজা তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে এদিন ৭ রানের বেশি আসেনি।
এই চার ব্যাটার সাজঘরের পথ ধরার পরই বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এসেছে ১৪৫ রান। মিরাজ অনেক ধীরগতিতে ব্যাট চালিয়েছেন, ১১৯ বলে ৪ চারে করেছেন ৬৬ রান।
কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সময়মত খোলস ছেড়ে বেড়িয়েছেন। ৬৩ বলে ৫০ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন। দর্শনীয় সব শটে দর্শকদের বিনোদন দিয়েছেন, তাতে দলের স্কোরও ফুলেফেঁপে উঠেছে। তবে শেষদিকে অন্য ব্যাটাররা একেবারেই সমর্থন দিতে না পারায় ৯৮ রানেই থামতে হয়েছে তাকে। দুই রানের জন্য ছুঁতে পারেননি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথম দুই ওয়ানডের একটি করে জিতেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানদের কাছে ৯২ রানে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৮ রানের জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সিরিজের এই তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে তাই এখন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে।