ছবি: সংগৃহীত
এমএলএসের তিন ম্যাচের প্লে-অফ সিরিজে আগের দুই ম্যাচে ১-১ ব্যবধানে সমতা ছিল ইন্টার মায়ামি ও আটলান্টা ইউনাইটেডের। শেষ ম্যাচটি তাই হয়ে উঠেছিল সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচ। যেখানে গোল করে দলকে সমতায়ও ফিরিয়েছিলেন মেসি। তবে এরপরও পারেনি তার দল। ৩-২ গোলে হেরে প্লে-অফ পর্বের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামিকে।
প্রতিপক্ষ আটলান্টার মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে প্রথম সাফল্যটা অবশ্য পেয়েছিল মায়ামিই। ম্যাচের ১৭ মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে নিয়েছিল মাতিয়াস রোহাস। কিন্তু চেজ স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়া ২০ হাজার দর্শকের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৯ থেকে ২১ মাঝের ৩ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে মায়ামিকে স্তব্ধ করে দেন আটলান্টার সেনেগালিজ স্ট্রাইকার জামাল থিয়ারে।
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে আটলান্টা। ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে একসঙ্গে তিনটি বদল আনেন কোচ জেরার্ড মার্তিনো । তাতে দলটির খেলায় গতি বাড়ে। এর ফলও আসে দ্রুতই। ৬৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে মার্সেলো ভাইগান্টের দুর্দান্ত ক্রসে লাফিয়ে উঠে বলে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন মেসি। সমতা ফেরে ম্যাচে।
মেসির সমতাসূচক সেই গোলের পর বল কেড়ে নেওয়া নিয়ে সুয়ারেজ, রোহাস ও জর্দি আলবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন আটলান্টা গোলকিপার ব্র্যান্ড গুজান। এ ঘটনায় খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। এরপর ৭৬ মিনিটে বারতোজ সিলৎসের গোলটা মায়ামিকে একেবারেই স্তব্ধ করে দেয়। এগিয়ে যায় আটলান্টা। ম্যাচের বাকি সময় মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়েও আর পেরে উঠেনি মায়ামি। ৩-২ গোলে বিদায় নেয় আসর থেকে।
মায়ামিকে হারানোয় ইস্টার্ন কনফারেন্সের সেমিফাইনালে আটলান্টা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অরল্যান্ডো সিটিকে। আগামী ২৪ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সেই ম্যাচ।