Logo
Logo
×

খেলা

৫ ফ্র্যাঞ্চাইজি ৫ অধিনায়ককেই কেন বাদ দিল

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম

৫ ফ্র্যাঞ্চাইজি ৫ অধিনায়ককেই কেন বাদ দিল

ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার ছিল আইপিএল দলগুলোর কাছে রিটেনশন লিস্ট দেওয়ার শেষ দিন। সেখানেই দেখা গেল এ চমক। ১০ বছর পর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকেই রাখেনি কেকেআর। যার নেতৃত্বে গতবার আইপিএল জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স, সেই শ্রেয়াস আইয়ারকেই ছেঁটে ফেলল তারা। সচরাচর কোনো জয়ী দল পরের মৌসুমে নিজের অধিনায়ককে ছেঁটে ফেলে না। কিন্তু শাহরুখ খানের দল সেই পথে হাঁটল।

শুধু শাহরুখ খানের দলই নয়, আইপিএলের ১০ দলের মধ্যে পাঁচটি দলই তাদের অধিনায়ককে আপাতত টিম থেকে ছেঁটে ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে লখনউ সুপার জায়েন্টসও। লখনউ যে কেএল রাহুলকে ছেঁটে ফেলবে সেটি তাও প্রত্যাশিত ছিল। কারণ গতবার কয়েকটি হারের পর দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা যেভাবে কেএল রাহুলকে উত্তেজিতভাবে 'বকাঝকা' করেছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।

শুধু তো কলকাতা বা লখনউ নয়, দিল্লি ছেঁটে ফেলেছে ঋষভ পন্থকে, বেঙ্গালুরু ফ্যাফ ডুপ্লেসিকে এবং পাঞ্জাব শিখর ধাওয়ানকে।

শিখর ধাওয়ানকে পাঞ্জাব কিংস যে নিলামে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল, সেটিও বোঝা যাচ্ছে। তিনি গতবার দলের ম্যানেজমেন্টের প্রত্যাশাপূরণ করতে পারেননি। তিনি এখন ভারতের টেস্ট, একদিনের ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি কোনো দলেই জায়গা পান না।  পাঞ্জাবের হয়ে তিনি গতবার আহামরি কিছু করতে পারেননি।

দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বেঙ্গালুরুর ফ্যাফ ডুপ্লেসিও। অতীতে এই মারকুটে প্লেয়ার প্রচুর ম্যাচে ভালো খেলেছেন। কিন্তু গতবার পারেননি। আইপিএলের জগতও খুব নিষ্ঠুর। দলগুলোর ম্যানেজমেন্ট 'পারফর্ম অর পেরিশ' নীতিতে বিশ্বাস করে।

তবে দিল্লির ঋষভ পন্থ ও কলকাতার শ্রেয়াস আইয়ারকে ছেঁটে দেওয়া নিয়ে এখন সামাজিকমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। কিছু দিন আগেই দিল্লি সৌরভ গাঙ্গুলীকে কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলেছে। তারপর তারা আবার পন্থকে না রেখে চমক দিল।

এখন থেকেই এই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে, আসন্ন নিলামে ঋষভ পন্থ, কেএল রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ারকে কিনতে কত দর হাঁকবে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

কারা থাকলেন?

কলকাতা নাইট রাইডার্স বা কেকেআর এবার রিঙ্কু সিং-কে সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়ে রেখেছে। রিঙ্কু পেয়েছেন ১৩ কোটি টাকা। সুনীল নারাইন ও আন্দ্রে রাসেল পাচ্ছেন ১২ কোটি, রমনদীপ ও হর্ষল রানা পাচ্ছেন চার কোটি টাকা করে। মিচেল স্টার্ককেও ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর।

২০১৮ সালে ৫৫ লাখ টাকায় কেকেআরে খেলতে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক গ্যাস সিলিন্ডারের ডেলিভারি ম্যানের ছেলে রিঙ্কু। আইপিএলে ৪৬ ম্যাচে ৮৯৩ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৪৩-এরও বেশি। রিঙ্কু সামাজিকমাধ্যমে শাহরুখের ডায়ালগ উদ্ধৃত করে লিখেছেন— হামারি প্রেম কাহানি অভি শ্রেফ শুরু হুই হ্যায়, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয়েছে, রিঙ্কুকেই কি অধিনায়ক করতে চলেছে কেকেআর।

এদিকে চেন্নাই ধোনিকে টিমে রেখেছে। ধোনির সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে চেন্নাই টিম। তাকে চার কোটি টাকা দিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, ১৮ কোটি; রবীন্দ্র জাদেজা ১৮ কোটি, শিবম দুবে ১২ কোটি, এবং পাথিরানা ১৩ কোটি।

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস তাদের গতবারের পাঁচ প্রধান ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার পেয়েছেন ১৬ কোটি ৩৫ লাখ, রোহিত শর্মা ১৬ কোটি ৩০ লাখ, শিবম দুবে আট কোটি এবং যাসপ্রিত বুমরাহ পেয়েছেন ১৮ কোটি টাকা।

এরপর রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, তিনি খুশি। তিনি দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এখন যারা দেশের হয়ে খেলছে, তাদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তার পরও দল যে এভাবে তাকে রেখেছে, সে জন্য তিনি খুশি।

পাঞ্জাব মাত্র দুজনকে রেখেছে। শশাঙ্ক সিংকে সাড়ে পাঁচ কোটি ও প্রভাসিমরন সিংকে চার কোটি টাকা দিয়ে রেখেছে। আকাশদীপসহ সবাইকে তারা ছেড়ে দিয়েছে।

আইপিএলে প্রতিটি টিম ১২০ কোটি টাকা দিয়ে প্লেয়ার কিনতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাঞ্জাবের হাতে নিলাম থেকে প্লেয়ার কেনার জন্য সবচেয়ে বেশি ১১০ কোটি টাকা থাকছে। সবচেয়ে কম থাকছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হাতে। তারা ৪৫ কোটি টাকা হাতে নিয়ে নিলামে যাবে।

বেঙ্গালুরু বিরাট কোহলিকে ২১ কোটি, রজত পাটিদারকে ১১ কোটি ও যশ দয়ালকে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছে। গুজরাট টাইটানস রশিদ খানকে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছে। রাজস্থান রয়্যালসে একই পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন সঞ্জু স্যামসন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদে হেনরিখ ক্লাসেন পাচ্ছেন ২৩ কোটি। তিনিই হলেন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দামি ক্রিকেটার। নিকোলাস পুরানকে ২১ কোটি টাকা দিয়ে রাখছে হায়দরাবাদ সানরাইজার্স।

আপাতত রিটেনশন পর্ব শেষ। নভেম্বরের শেষের দিকে আইপিএলের নিলামের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেখানেই ঠিক হবে ক্রিকেটারদের কত টাকা দিয়ে কিনছে কোন দল।

ঘটনাপ্রবাহ: আইপিএল- ২০২৫


আরও পড়ুন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম