টেস্টের তৃতীয় দিনের ১ রানে পিছিয়ে থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। এর আগে ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন টাইগাররা। তবে দিনের শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। শুরুতেই আউট হন জয়। এর পর মুশফিকুর রহিমও ফিরে যান। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন লিটন দাসও। ১৫ বল খেলে ৭ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১১ বল খেলে ৫৮ রান করে ফিরে যান জাকের।
১৩৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ-জাকের। এ জুটি টেস্টে যেকোনো উইকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমরের করা ১৩১ রানের জুটি ছিল সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান তোলার পর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ করা হয়। মেহেদী হাসান মিরাজ ৭৭, নাঈম হাসান ১২ রানে ব্যাট করছিলেন। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৬৫ রানে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ সকাল থেকে মিরপুরও অনেকটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল। মধ্যাহ্নবিরতির আগে হোম অব ক্রিকেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। লাঞ্চ ব্রেকের পর কিছুক্ষণ খেলা চালিয়ে নেওয়া গেলেও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ায় আপাতত মাঠের লড়াই বন্ধ রয়েছে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর প্রোটিয়াদের বড় লিডে চাপা পড়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে অন্তত ২০২ রান করতে হতো। দলীয় ৪ রানের মাথায় পরপর ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ইনিংস হারের শঙ্কা ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে গতকাল শেষ বিকালে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকের পাল্টা প্রতিরোধে লড়াইয়ে ফেরেন স্বাগতিকরা।
আজ (বুধবার) ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালটাও ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের। ৭ ওভারেই টাইগারদের উইকেটের পতন হয় ৩টি। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ফিরে গেছেন আগের দিনের অপরাজিত জয় ও মুশফিক। আবারও ব্যর্থ হন লিটন দাস। আবারও ইনিংস হারের শঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। অবশ্য এবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। সপ্তম উইকেটে এ দুজনে ২৪৫ বলে ১৩৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছেন। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ রানের জুটি। দুজনই ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা পান। কেশভ মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে জাকের ৫৮ রানে ফিরে গেলেও নাঈমকে নিয়ে লিড বাড়ানোর চেষ্টায় আরেক অপরাজিত ব্যাটার মিরাজ।