ব্যাটিং বিপর্যয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ টাইগাররা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৭ পিএম
দুই ম্যাচের টেস্টের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। জুলাই-আগস্টে পাকিস্তান সফরে গিয়ে বাবর আজমদেরকে তাদের ঘরের মাঠেই হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।
অথচ পাকিস্তান সফর থেকে দেশে ফিরে কয়েকদিনের ব্যবধানে ভারতে গিয়ে নিজেরাই ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ভারত সফরে গিয়ে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা।
শনিবার ছিল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ। হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ভারত।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে উইকেট হারালেও শেষ বল পর্যন্ত ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
সাঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়াদের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০ ওভারে ২২টি ছক্কা আর ২৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৯৭ রান করে ভারত। টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটাই কোন দলের সর্বোচ্চ রানের স্কোর।
দলের হয়ে সাঞ্জু স্যামসন ৪৭ বল মোকাবেলা করে ১১টি চার আর ৮টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১১১ রান করেন। ৩৫ বলে ৮টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৭৫ রান করেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
মাত্র ১৮ বল মোকাবেলা করে চারটি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৩ বলে একটি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করেন রায়ান পরাগ।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিনি ১২ বলে ফেরেন ১৫ রান করে।
দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাল ধরতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি দলীয় ৫৯ রানে ১১ বলে মাত্র ১৪ রান করে ফেরেন।
এরপর চতুর্থ উইকেটে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৩৮ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন লিটন দাস। লিটন ২৫ বলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ রান করে ফেরেন।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ বলে মাত্র ৮ রান করে ফেরেন ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন শেখ মেহেদি হাসান ও রিশাদ হোসেন। তবে পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন তাওহিদ হৃদয়।
তিনি ৪২ বলে ৫টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ফিফটিতেই ৭ উইকেটে ১৬৭ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ভারত।