মুলতানে পাকিস্তানের ঐতিহাসিক হারে একগাদা রেকর্ড
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
মুলতানের ব্যাটিং স্বর্গে প্রথম ইনিংসে তিন সেঞ্চুরিতে ৫৫৬ রান করেছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ডও ব্যাটিংটা মন্দ করবে না, সেটা অনুমিতই ছিল। তবে দুই ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক আর জো রুট যা করলেন, তা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ব্রুক (৩১৭), আর রুটের ব্যাটে এলো ডাবল সেঞ্চুরি (২৬২)।
রেকর্ড ৮২৩ রান করে ইংলিশরা যখন ইনিংস ঘোষণা করে, তাদের লিড তখন ২৬৭। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২২০ রানের বেশি তুলতে পারল না পাকিস্তান। তাতে ইনিংস ও ৪৭ রানে হারতে হয়েছে স্বাগতিকদের। এমন হারে একগাদা রেকর্ড হয়েছে, যার কোনোটাই পাকিস্তানের জন্য সুখকর নয়।
এক নজরে মুলতান টেস্টে পাকিস্তানের সব রেকর্ড
> ১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে পাকিস্তানই ৫০০+ রান করার পরও ইনিংস ব্যবধানে হারা একমাত্র দল পাকিস্তান। এর আগে রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪৯২ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট হেরেছিল তারা।
> এমনকি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৫০+ রান করে ইনিংস ব্যবধানে হারা মাত্র দ্বিতীয় দল পাকিস্তান। এর আগে ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে ৫৮৪ রান করে গ্ল্যামরগানের বিপক্ষে ইনিংস ও ২৮ রানে হেরেছিল লেস্টারশায়ার।
> ৫০০+ রান করে সবচেয়ে বেশিবার টেস্ট হারের রেকর্ডও এখন পাকিস্তানের। এই নিয়ে পঞ্চমবার তারা ৫০০+ রান করে টেস্ট হারল। ৫০০+ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনবার হেরেছে অস্ট্রেলিয়া।
> মুলতান টেস্ট হারের মাধ্যমে হোম-অ্যাওয়ে মিলিয়ে টানা ষষ্ঠ টেস্ট ম্যাচ হারল পাকিস্তান। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে আর কোনো টেস্ট ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি বাবর আজমরা। এর আগেও দুই দফায় ২০১৬-১৭ ও ২০১৮-১৯ সালে টানা ছয় টেস্ট হেরেছিল দলটি।
> ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। এরপর থেকে এই তিন বছরে নিজেদের আঙিনায় ১১টি টেস্ট খেলে একটিতেও জিততে পারেনি ‘মেন ইন গ্রিন’।
> দলের বড় হারে বিব্রতকর রেকর্ডে নাম উঠেছে অধিনায়ক শান মাসুদেরও। টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে এখন পর্যন্ত টানা ৬ টেস্টে হারের রেকর্ড ছিল ৪ জনের। পঞ্চম অধিনায়ক হিসেবে টানা ছয় টেস্ট হারের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
> টেস্ট ক্রিকেটে কমপক্ষে আট ইনিংস খেলা ওপেনিং জুটির মধ্যে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি আবদুল্লাহ শফিক ও সায়েম আইয়ুবের গড় সবচেয়ে কম (২.৮৭)।