Logo
Logo
×

খেলা

হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন: হাসিন

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৩ এএম

হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন: হাসিন

হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন: হাসিন

দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামি ও মডেল হাসিন জাহানের বিচ্ছেদের মামলা। ক্রিকেটার স্বামীকে নিয়ে ফের সরব হলেন হাসিন জাহান। আদালতে স্বামীর নামে স্ত্রী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে হাসিনের। এমনকি শামির দাদার বিরুদ্ধেও ধর্ষণের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ আছে তার।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, অনেক দিন ধরে ঝুলে আছে ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামি ও মডেল হাসিন জাহানের বিচ্ছেদের মামলা। আদালতে স্বামীর নামে স্ত্রী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা করেছেন হাসিন। সঙ্গে শামির দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। 

কিছু দিন আগে মেয়ের সঙ্গে শপিংয়ের ভিডিও পোস্ট করে আবেগঘন হতে দেখা গিয়েছিল শামিকে। স্বামীর সেই ভিডিওকে ‘লোকদেখানো’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি হাসিন জাহান। মেয়ে আইরাকে নিয়ে হাসিন-শামির কাদা ছোড়াছুড়ির মাঝেই আইনি আপটেড দিলেন তিনি। 

পঞ্চমীর দিন কলকাতা হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দিয়েছেন বলে জানান হাসিন। যদিও কোন মামলায় হাসিনকে সহানুভূতি দেখিয়েছেন রাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। 

এর আগে ২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে ‘স্ত্রী নির্যাতন’সহ একাধিক অভিযোগ এনে যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন হাসিন। দুজনের বিচ্ছেদ ও খোরপোশের মামলা আলিপুর আদালতে বিচারাধীন। মহাষষ্ঠীর দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে হাসিন আল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন— ‘গতকাল কলকাতা হাইকোর্ট আমার পক্ষে একটা রায় দিয়েছেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আমার এবং আমার নাবালিকা মেয়ের বিরুদ্ধে শক্রুরা মিথ্যে মামলা করেছিল। সেই মামলা খারিজ করে বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় আমার প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আমার আইনজীবী, বড় দাদা ইমতিয়াজ আমমেদকে, যার সৎ প্রচেষ্টার জন্য আমার এই জয়’। 

 পোস্টের ক্যাপশনে হাসিন আরও লিখেছেন— 'আমার দুই আইনজীবীকে টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে কেসটা দুই বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত আমি আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ ভাইকে আমার কেসটা সঁপে ছিলাম, আর আলহামদুল্লিলাহ তিন মাসেই আমি ইনসাফ পেলাম। সত্যের জয় নিশ্চিত, সেটা ফের প্রমাণিত হলো। শামি আহমেদের বিরুদ্ধে আমি যত মামলা করেছি, শুধু তা ওর ভ্রষ্টাচারণের জন্য তা ঝুলে থেকেছে। ৪৯৮(এ) ধারায় যে মামলা চলছে তাতে দীর্ঘদিন পর কেসের তারিখ দেওয়া হচ্ছে অকারণে। আর খোরপোশের মামলায় আমার উকিলই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় মামলা দীর্ঘায়িত হয়েছে। এখন আমি আইনজীবী পালটেছি। আর এখন তো থার্ড জেএম কোর্টে দীর্ঘদিন বিচারকই নেই! ১৩৮ ধারাতেও আমি জলদি সুবিচার পাব, ইনশাআল্লাহ'।

গত বছর গার্হস্থ্য হিংসার মামলায় আলিপুর আদালত হাসিনের পক্ষে রায় দিয়ে জানিয়েছিলেন— প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য করতে হবে শামিকে। এর পাশাপাশি মেয়ের জন্য ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে ভারতীয় তারকা পেসারকে। ২০১৮ সালে মামলা রুজু হয়, সুতারাং ওই বছর মার্চ মাস থেকে বকেয়া টাকা হাসিনকে মেটাতে হবে শামিকে। যদিও খোরপোশের এই অর্থতে খুশি ছিলেন না হাসিন। উচ্চ আদালতে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা বলেছিলেন শামির বিচ্ছিন্না স্ত্রী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম