চেন্নাই টেস্টে বোলিং করার সময় আঙ্গুলে ব্যথা অনুভব করেন সাকিব আল হাসান। যে কারণে ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুর টেস্ট শুরুর আগে সাকিব আল হাসানকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছেন, আপনি সরাসরি চোট বলতে পারবেন না। কিছু ছোট ছোট ব্যাপার থাকে, যে আঙুলটায় অসুবিধা হয়েছিল, সেটা ম্যাচের আগে সে ফিল করতে পারেনি। বোলিং করা শুরু করার পর ফিল করেছে। সেই আঙুলে আবার বল লেগেছে। সেদিক থেকে কিছুটা তো ব্যথা রয়েছে। যেহেতু সেকেন্ড টেস্টের আগে সময় আছে, আমাদেরও দেখার সুযোগ রয়েছে।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে হান্নান আরও বলেন, সাকিব এমন একজন প্লেয়ার, সে যদি খেলতে না পারে, যদি মনে করে বোলিং করতে পারবে না, তাহলে কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে। আর সে যদি মনে করে বোলিং-ব্যাটিং কিছুই করতে পারবে না, তাহলে সিনারিও ভিন্ন। সময় যেহেতু আছে, পরে আমরা দেখেশুনে জাজমেন্টে যাব।
তিনি আরও বলেছেন, সাকিবকে নিয়ে ম্যাচে যাওয়ার আগে আমাদের সবসময় চিন্তা করে নিতে হয়। পরের ম্যাচের আগে আমাদের সেই চিন্তার সময় আছে। আমরা দেখব তার কী অবস্থা। আমরা জানি যে সাকিবের হাতের ব্যথা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটা কিন্তু ম্যাচের আগে ছিল না। অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে; কিন্তু আমরা ম্যাচের আগে ফিজিওর ১০০ ভাগ ক্লিয়ারেন্স নিয়েই তাকে দলে রেখেছি। তখন ১০০ ভাগ ফিটই ছিল। পরের ম্যাচের আগে সময় আছে, আমরা তাকে নিয়ে চিন্তা করব।
হান্নান আরও বলেন, সাকিব আসলে আমাদের সেরা খেলোয়াড়। এটা আমাদের বলতেই হবে। সাকিব যদি একাদশে থাকে, তাহলে কম্বিনেশন সাজানো সহজ হয়। সে জায়গায় থেকে সাকিব এ ম্যাচেও খেলেছে। তার ব্যাটিংটা আমার খুব ভালো লেগেছে। অন্যদের তুলনায়, সাকিবের আগের ব্যাটিংয়ের তুলনায় এই ম্যাচে তাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। খুব স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছে, চাপ হ্যান্ডেল করেছে। হ্যাঁ, রানটা বড় হয়নি। এটা ঠিক কিন্তু সাকিব বরাবরই আমাদের দলের ব্যালেন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।