চলতি বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে। আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় হামলার সময়ে নীরব ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব।
ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয় সাকিব আল হাসানকে। গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাকিবকে। মামলায় ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে।
সেই মামলায় সাকিবকে আসামি করা প্রসঙ্গে কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেছেন, গতকাল থেকে বারবার ২/৩ লাইন লিখছি আর মুছে ফেলছি। থাক, মত প্রকাশ করা বাদ দেই, খামোখা নতুন নতুন বিশেষণে বিশেষায়িত হয়ে লাভ কী? বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত সব ইনিংস খেলার এটাই হয়তো পুরষ্কার।’
একজন লিখেছেন, ‘বাকস্বাধীনতার যুগে লিখে মুছেন ক্যান আপু? ছি! তয় কথা হইল এক্স ওয়াইফকে ছেড়ে কথা বলেনি, সেখানে আপনার মতো দুষ্টু শাশুড়ির কী করবে, জানিনে বাপু!’ জবাবে অভিনেত্রী শাওন লিখেছেন, ‘আগে এতো মুছতে হয়নি রে আপু!’
পরাগ আহমেদ নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তার অনেক ভুলভ্রান্তি ছিল, এটা সত্য। তারপরও সে আমাদের দেশের গর্ব। অন্যভাবেও শাস্তি দেয়া যেত, এভাবে নয়।’ জবাবে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘তার অন্য কোনো ভুল হলে সেটার তদন্ত হতে পারতো, তাই বলে হত্যা মামলা?’
তৌহিদুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক। এমপি সাকিবের নামে মামলা হয়েছে। ক্রিকেটার সাকিবের নামে নয়।’ যার জবাবে শাওন লিখেছেন, ‘বিগত সরকারের এমপি হলেই হত্যা মামলা! তাহলে কিছু বলার নাই।’
অভিনেত্রী শাওনের এই জবাবে পাল্টা রুম্মান নামের একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘এমপি হয় ঠিক কোন দায়িত্ব নিয়ে যেন? মানুষের সেফটি, দায় দায়িত্ব কি উনাদের কাঁধে থাকে? নাকি থাকে না? আর ফারহানা নামের একজন লিখেছেন, ‘এমপি হয়ে কী কী কাজ করেছে সে দেশের জন্য? নাকি বিশেষ কোনো সুবিধা নেয়ার জন্য এমপি হয়েছে?
দুটি মন্তব্যের জবাবে হুমায়ূনপত্নী লিখেছেন, ‘মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব শুধু এমপি কেন, সবার কাঁধেই থাকে। আমি যতদূর জানি তিনি দেশের বাইরে টুর্নামেন্টে ছিলেন, নীরব ছিলেন। আন্দোলনের বিপক্ষে তো কোনো কথা বলেননি। চুপ থাকার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু হত্যা মামলা?’
এরপর লিখেছেন, ‘সাকিব কি এমপি না হলে বেনিফিটেড ছিল না? আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার মতো একজন অলরাউন্ডারকে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কিছু নাই, তিনি এমনিতেই অনেক বেশি পেতেন। এ ধরনের “ঠ্যাশ” দেয়া মন্তব্যের জন্য আপনাকে বাদ দিলাম।’