ছবি: সংগৃহীত
বিসিবিতে কোচিং করানোর সুবাদে সাকিবকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম। সেই সাকিব পরবর্তীতে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার হলেও নানা সমস্যায় সমাধান পেতে ছুটে এসেছেন ফাহিমের কাছে। তিনিও সাহায্য করেছেন যথাযথ ভাবে। আরও একবার সমস্যায় সাকিব। তবে এবার সমস্যাটা ক্রিকেটের বাইরের। হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে সাকিবকে। শঙ্কায় পড়ে গেছে তার ক্যারিয়ারও।
তবে এসব যে মাঠের সাকিবের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলে না তা জানান দেয় পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্টে সাকিবের পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের বিপক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। সেই সাকিবের কঠিন মানসিকতার প্রশংসা করেছেন ফাহিম। সোমবার মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে সাকিবের কঠিন মানসিক শক্তির কথা জানিয়েছেন বিসিবির এ নতুন পরিচালক।
সাকিবকে নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘মেন্টালি স্ট্রং বলব না। যে কোনো অ্যাথলেট হোক, যে কোনো দেশেরই হোক, তারা যখন পারফর্ম করতে নামে মাঠে, আমার মনে হয় না তারা নেগেটিভ প্যাকেজগুলো নিয়ে মাঠে নামে। তারা শুধু তাদের খেলার কথাই ভাবে। ওভাবেই তারা নিজেদের তৈরি করে। যেন অন্য কোনো চিন্তা আদৌ না আসে। তার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়, ওর অন্য কোনো চিন্তা থাকে না। ও শুধু ব্যাটারকে নিয়েই চিন্তা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বল কোথায় করবে, কীভাবে করবে। অন্য কোনো সময় আসতে পারে চিন্তা, তবে বল করার সময় চিন্তা আসে না। এটাই ওকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। অন্যদের আমরা দেখেছি, বিভিন্ন ঘটনা, সমালোচনা তাদের ন্যাচারাল খেলা খেলতে দেয় না। কিন্তু সাকিবের ক্ষেত্রে সেটা ঠিক না।’
এমন পারফরম্যান্স সাকিবের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে জানিয়ে ফাহিম বলেন, ‘সাকিবের বোলিংয়ের মধ্যেই আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি যে সে যখন বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করে সে কমফোর্টেবলি সেটা করে না। কিন্তু কালকে সেটা দেখিনি কিন্তু। একটা প্রোপার টেস্ট বোলার যেভাবে বোলিং করে সে সেভাবেই বোলিং করেছে। বোলিং করার সময় সে নিজের ওপর আস্থা নিয়েই বোলিং করেছে। ডানহাতি-বামহাতি সব ধরনের সিচুয়েশনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখনই বল তাকে দেওয়া হচ্ছে, উইকেট নেওয়ার জন্য সে বোলিং করেছে। অন্যদের সঙ্গেও আলাপ করছে, মিরাজকেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দিচ্ছে। টোটাল ইনভলবমেন্ট ছিল। আমার মনে হয় সে নিজেও উপভোগ করেছে। বোলিং নিয়ে তার মধ্যে অসন্তুষ্টি ছিল, সেটা চলে গেছে। আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে। এটা ওর পরবর্তীতে কাজে লাগবে।’