খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে মুলতানের মতো আক্ষেপ আর দ্বিতীয়টি নেই। ২০০৩ সালে নবীন টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছিল শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারানোর। কিন্তু ইনজামাম উল হকের বীরত্বে সেদিন হৃদয় ভেঙে চুরমার হয় বাংলাদেশের। চোখের জলে সিক্ত হন সে দলের অন্যতম সদস্য খালেদ মাহমুদ সুজন।
২১ বছর পর আবার সুজনের চোখে অশ্রু দেখা গেল। তবে এবার দুঃখের নয়, এ অশ্রু আনন্দের। মুলতানের সেই দুঃখ রাওয়ালপিণ্ডিতে ভুলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তাদের বিপক্ষে আগের ১৩ টেস্টের ১২টিতেই হেরে যাওয়া বাংলাদেশ এবার দারুণ দাপটে লিখেছে ইতিহাস।
রিজওয়ানের ওপর মেজাজ হারিয়ে ফের বিতর্কে সাকিব
অনুজদের এমন জয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছেন সুজন। গণমাধ্যমে জয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘২০০৩ অন্যরকম হতে পারতো আসলে। সত্যি কথা বলতে অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু আমি মনে করি তখন হয়তো আমাদের অভিজ্ঞতা ছিল না। রিভিউ ছিল না। একটা ছোট দলের জন্য রিভিউ সিস্টেম যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ আজকের টেস্ট ম্যাচ থেকে বোঝা গেছে। শান মাসুদের কটটা কি হত আম্পায়ার তো আউট দেয়নি। ডিআরএসের এর সূত্রেই তো পাওয়া।’
সুজন যোগ করেন, ‘২১ বছর আগে যেটা মনে ছিল ওটা আজকের পর আর মনে থাকবে না বোধহয়। আজকের পর থেকে রাওয়ালপিন্ডির টেস্ট ম্যাচ টা মনে থাকবে। প্রত্যেকটা ব্যাটিং মনে থাকবে, প্রত্যেকটা উইকেট মনে থাকবে, ওটা এখন অনেক খুশির ব্যাপার।’