পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পাকিস্তানের মাঠে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে ১০ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলটি।
টেস্টে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ১০ উইকেটে জয়। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩ টেস্ট খেলে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ছিল ২০১৫ সালে খুলনা টেস্ট ড্র। ১৪তম টেস্টে এসে বাংলাদেশ পেল ঐতিহাসিক জয়। পাকিস্তান নবম প্রতিপক্ষ, যাদের টেস্টে হারাল বাংলাদেশ। বাকি থাকল শুধু ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের এটি মাত্র সপ্তম জয়, সব মিলিয়ে ২০তম।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়কে সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিতহ শহিদদের স্মরণে উৎসর্গ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭১ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৪১ রান করেন সৌদ শাকিল। ৫৬ রান করেন সায়েব আইয়ুব।
জবাবে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ এবং সাদমান ইলাম অনিক (৯৩), মেহেদি হাসান মিরাজ (৭৭), লিটন দাস (৫৬) ও মুমিনুল হক সৌরভের (৫০) ফিফটিতে ভর করে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ।
১১১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ও ৩টি করে উইকেট নেন মিরাজ ও সাকিব।
৩০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনে শত শত ছাত্র শহিদ হন। আহত হয়ে এখনো হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন অনেকে। অনেকে পঙ্গু হয়ে গেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। আওয়ামী লীগের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের কমিটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছে।