বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ১৭তম সভাপতি হলেন ফারুক আহমেদ। বিসিবি সভাপতি হয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলা প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বোর্ডের সভাপতি হলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
ফারুক আহমেদের আগে ক্রিকেট মাঠ থেকে উঠে এসে বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন কমোডর মুজিবুর রহমান ও আলী আসগর লবি।
মুজিবুর রহমান তৃতীয় বোর্ডপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৮৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। আর আলী আসগর লবি ক্রিকেট বোর্ডের ১০তম সভাপতি হিসেবে ২৬ নভেম্বর ২০০১ সাল থেকে ১৪ নভেম্বের ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গঠনের আগে কমোডর মুজিবুর রহমান ও আলী আসগর লবি ক্লাব ক্রিকেট খেলেছিলেন। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে পেশাদার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবি সভাপতি হয়ে অনন্য নজির গড়লেন ফারুক আহমেদ।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপ আগেই ছিল। বোর্ড সভাপতি হতে হলে তাকে আগে পরিচালক হতে হতো। বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাকে বিসিবি পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
এতদিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় সরাসরি বিসিবি পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন জালাল ইউনুস ও প্রবীন পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। গত সোমবার জালাল ইউনুস পদত্যাগ করেন। আজ আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির পদটি কেড়ে নেয় ক্রীড়া পরিষদ।
জালাল ইউনুসের শূন্যপদে বোর্ড পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদ নিয়োগ পেয়ে বাকি পরিচালকদের সঙ্গে বোর্ড মিটিংয়ে বসেন। বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত পরিচালকদের ভোটে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক এই অধিনায়ক।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন ফারুক আহমেদ। প্রায় ১৫ বছর ধরে খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। ১৯৯৩ সালে আইসিসি ট্রফিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাতটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সবশেষ দেশের জার্সিতে তাকে দেখা গেছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে।
ক্রিকেট থেকে অবসরে দুই দফায় পালন করেছেন জাতীয় দলের নির্বাচকের দায়িত্ব। ২০০৩ থেকে প্রথম দফায় প্রধান নির্বাচক পদে দায়িত্ব পালনকালে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে জাতীয় দলে তুলে আনেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে যে তিন ক্রিকেটার অন্যতম সেরা হিসেবেই বিবেচিত।
এরপর ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেই আরেকবার নির্বাচক হন। দল নির্বাচনে বিসিবির হস্তক্ষেপ ও দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির ফর্মুলার বিরোধিতা করে ২০১৬ সালে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। ৮ বছর পর ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হয়ে ফিরলেন।