ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সুজন-আকরামদের পরিচয়পর্ব নিয়ে কেন এত আলোচনা?
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সুজন-আকরামদের পরিচয়পর্ব
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকারের। ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে আছেন তরুণ দুই উপদেষ্টা। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। গত রোববার নতুন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রথম কার্যদিবস ছিল। সেদিনই বিসিবির সাত পরিচালককে নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী।
শুরুতে মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত তরুণ উপদেষ্টার সঙ্গে দাঁড়িয়ে পরিচালকদের পরিচয় করিয়ে দেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। প্রথমে দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দেন পরিচালক কাজী এনাম আহমেদ। তিনি পাশে থাকা ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুসকে ইশারা দিয়ে পরিচয় দিতে বলেন।‘আসসালামুলাইকুম, আমি জালাল ইউনুস...’ এভাবে একে একে মাহবুবুল আনাম, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, ইফতেখার রহমান হয়ে খালেদ মাহমুদ সুজন, সবার শেষে ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক আকরাম খান উপদেষ্টাকে নিজের পরিচয় দেন দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে। আকরামের পরিচয়পর্বে মৃদু হাসি ফুটে ওঠে আসিফ মাহমুদের মুখে।
সোমবার বিকাল থেকে এ দৃশ্য ফেসবুকে ছড়াতেই নানা ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মনে করেন, ২৬ বছর বয়সি ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বিনয়ের পরিচয় দিতে পারতেন। যেহেতু বেশিরভাগ পরিচালক তার বাবার বয়সি। আর আকরাম–সুজনদের হাত ধরে ১৯৯৭ সালে বদলে গিয়েছিল দেশের ক্রিকেটের মানচিত্র। সেই নায়কদের একটু সম্মান দিলে এমন কোনো ক্ষতি হতো না। তারা মনে করেন, বিনয়ী হলে কেউ ছোট হয় না।
কেউ আবার মনে করেন, পরিচালকেরা কোনো ব্যক্তিকে নয় সালাম দিয়েছেন ব্যক্তির চেয়ার, পদ–পদবীকে। এটাই নিয়ম, রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত যেকোনো ব্যক্তিকেই এ ধরনের সম্মান জানানো যায়। কেউ আবার আরেক কাঠি সরেস, নানা অনিয়মে ভরা বিসিবির পরিচালকদের জন্য নাকি এটাই যথার্থ! অনেকের এ দৃশ্য দেখে যেমন হতাশ হয়েছেন, অনেকে আবার মজার উপাদানও খুঁজে পাচ্ছেন। অনেকে এ দৃশ্যের সঙ্গে বলিউডে অনিল কাপুরের জনপ্রিয় সেই ‘নায়ক’ সিনেমার মিল খুঁজে পাচ্ছেন।
যুব উপদেষ্টার কাছে বিসিবির শীর্ষ কর্তারা গিয়েছিলেন মূলত অক্টোবরে দেশের মাঠে অনুষ্ঠেয় নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়ে কথা বলতে। আলোচনা শেষে বিসিবি কর্তাদের বিদায় নেওয়ার সময় আসিফ চেয়ার থেকে উঠে হাত বাড়িয়ে দেন হাসিমুখে ৷
নাজমুল হাসান পাপনের অনুপস্থিতিতে বিসিবি কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে পরে সংবাদমাধ্যমে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘একটা ফেডারেশনকে চলতে হলে তার সব কটি অর্গান (স্তর) ভালোভাবে কাজ করতে হয়। বিসিবি আইসিসির অধীনে একটা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তাদের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। বিসিবির পরিচালক যারা আছেন, তারা আইসিসির বিধিবিধান মেনে কীভাবে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান করা যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে লিগ্যাল প্রসেস শুরু করতে বলা হয়েছে।’