সাকিবের নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে: প্রধান নির্বাচক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যস্ততা। আগামী ২১ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আর এর মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলবেন সাকিব-তাসকিনরা।
এ ব্যস্ত সূচি সামনে রেখে গত ২৫ মে থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুতি নিয়েছেন টেস্ট দলের থাকা ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের মধ্যেও কয়েকজন সেই ক্যাম্পে যোগ দেন।
এ সময় সাকিব ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেননি। কারণ তিনি ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ টি-টোয়েন্টির পর খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সাকিব কানাডা থেকেই সরাসরি পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
ফিটনেস ও লাল বলে অনুশীলন না থাকার পরও সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
আজ মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটি সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড— সব কিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’
সাকিবের চোখের সমস্যায় ভোগায় ব্যাটিংয়ের ছন্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গাজী আশরাফ সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রেখে বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন কিছু শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
প্রধান নির্বাচক বলেন, শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের আটটি টেস্টই সাকিব খেলবেন। তিনি বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেক টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটি টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে— সব টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবকে নিয়ে দুশ্চিন্তা। তিনি গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এখন নেই।— এমন প্রশ্নের উত্তরে গাজী আশরাফ বলেন, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ও কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের ক্ষেত্রে, দলে রাখা নিয়ে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন— সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সেটি ঠিক আছে। আমরা সেটি নিয়েও ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটি হয়। আগামীতেও মেধাকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে।’