Logo
Logo
×

খেলা

সৌরভের কথা শুনে প্রতারিত, থানায় অভিযোগ ১২৭ জনের

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম

সৌরভের কথা শুনে প্রতারিত, থানায় অভিযোগ ১২৭ জনের

নির্মাণ সংস্থার হয়ে বিজ্ঞপনে অভিনয় করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। সাবেক ক্রিকেটারের বিজ্ঞাপন দেখেই ওই সংস্থার কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন শতাধিক লোক। তবে ফ্ল্যাট কিনে প্রতারিত হয়েছেন। যে কারণে সৌরভের বিরুদ্ধে থানা-পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ভুক্তভোগীরা। 

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় একটি সংস্থার তৈরি আবাসনে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন প্রায় দেড়শ মানুষ। তাদের অভিযোগ, ফ্ল্যাট কেনার সময় সংস্থার তরফ থেকে যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেসব সুযোগ-সুবিধা মিলছে না। এরই সঙ্গে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে মালিক পক্ষের তরফে। 

এ অবস্থায় সেই আবাসন নির্মাণকারী সংস্থার হয়ে বিজ্ঞাপনে অভিনয় করায় সৌরভের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে মহেশতলা থানার দ্বারস্থ হলেন তারা। সেই সঙ্গে আবাসনে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা সমাধানেরও দাবি জানানো হয়েছে।

থানা পুলিশের কাছে যে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে ১২৭ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। 

জানা গেছে, মহেশতলা থানার অন্তর্গত ১ নম্বর বাটানগর রোডে অবস্থিত আবাসন প্রকল্পটি। ২০১৩ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অভিযোগকারীদের দাবি, এর পর ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি, অভিনেতা ও সংসদ সদস্য দেব এবং আবাসন প্রকল্পের মালিক নিজে। 

সেই সময় এ আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে একটি ফিল্ম সিটি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি এবং হাসপাতাল নির্মাণেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সৌরভ ছিলেন এ প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, হোর্ডিং এবং সংবাদপত্রে সৌরভের ছবিসহ ওই আবাসনের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে আজ ৭ বছর পরও তা হয়নি।

এ অবস্থায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগীরা। তাদের অভিযোগ, আবাসনে পানির সমস্যা রয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও সেভাবে নেই। আবাসনে সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও কম। আর যেগুলো লাগানো রয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই কাজ করে না। বহু বিল্ডিংয়ে লিফট বিকল। এমনকি এ আবাসনে মধুচক্রের আসরও বসে বলে অভিযোগ তাদের।

এদিকে অনেকেই টাকা মিটিয়ে দিলেও এখনও ফ্ল্যাট বুঝে পাননি। অন্যদিকে অনেকেই ৮০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করার পরও নাকি চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। ভুক্তভোগীদের দাবি, মালিকপক্ষের পাশাপাশি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে সৌরভকেও এর দায় নিতে হবে।

এদিকে নিজের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়া প্রসঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি ওই নির্মাণ প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। তবে সেই আবাসনে যে সমস্যা হচ্ছে বা অভিযোগ উঠেছে, এর সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র নেই। এমনকি সৌরভ নিজেও ওই নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। 

ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এ অধিনায়ক দাবি করেন, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে তার যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, সেই টাকাও তিনি এখনও পাননি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম