ছবি: সংগৃহীত
১৯তম ওভারের চতুর্থ বল। জয়ের জন্য তখন শ্রীলংকার দরকার ৫ রান। পুজা ভাস্ত্রাকারের করা সে বলটিকে লং অন দিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন কাভিশা দিলহারি। এর সঙ্গেই ডাম্বুলার গ্যালারি থেকে ডাগআউটে ছড়িয়ে পড়ে উৎসব। নারী এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন যে এখন শ্রীলংকা।
ঘরের মাঠে ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জিতেছে শ্রীলংকা। ভারতের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট এবং সমানসংখ্যক বল হাতে রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে তারা।
ডাম্বুলায় টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তোলে ভারত। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঝোড়ো ফিফটি করা ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার ব্যাট আরেকবার খাপখোলা তলোয়ার হয়ে ওঠে। লংকানদের বিপক্ষেও তার ব্যাটেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬০ রান। ১০ চারে ৪৭ বলে তার এই ইনিংসে শুরুতেই লড়াকু স্কোরের ভিত পেয়ে যায় ভারত।
এর সঙ্গে দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার রিচা ঘোষ এবং জেমিমা রদ্রিগেজের মারকুটে ব্যাটিংয়ে লড়াকু পেয়ে যায় ভারত। ১৪ বলে এক হালি চার এবং এক ছক্কায় ৩০ রান করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিচার। অন্যদিকে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন জেমিমা।
লংকানদের পক্ষে বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন স্পিনার কাভিশা দিলহারি। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৬ রতান খরচায় দুই উইকেট নেন তিনি।
১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই বুঝেশুনে খেলেছেন লংকান ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ওভারে ভীষ্মি গুনারত্নে রান আউটে কাটা পড়লেও ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। তাকে সঙ্গ দেন তিনে নামা হারশিতা সামারাবিক্রমা।
দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৮৭ রান। ব্যক্তিগত ৬১ রানে দীপ্তি শর্মার বলে বোল্ড হন আতাপাত্তু। তবে সামারাবিক্রমা তখনও ক্রিজে অবিচল। চারে নেমে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন বল হাতে আলো ছড়ানো দিলহারি।
তৃতীয় উইকেটে সামারাবিক্রমা-দিলহারির ৪০ বলে হার না মানা ৭০ রানের জুটিতে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলংকা। ৫১ বলে ৬ চার এবং ২ ছক্কায় ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন সামারাবিক্রমা, আর ১৬ বলে ৩১ রানের ক্যামিওতে দলের জয়ে অবদান রাখেন দিলহারি।
উল্লেখ্য, এর আগে পাঁচবার ফাইনালে কপাল পুড়েছিল শ্রীলংকার। অবশেষে নিজেদের আঙিনায় এশিয়া কাপের শিরোপা ধরা দিল তাদের।