অস্ট্রেলিয়ার হকি খেলোয়াড় ম্যাট ডসন। ছবি-সংগৃহীত
‘অলিম্পিকে খেলার জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত’ এ ধরনের কথা সাধারণত রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ম্যাট ডসন ব্যাপারটিকে প্রায় আক্ষরিক বানিয়ে ফেলেছেন। প্যারিস অলিম্পিকে খেলার জন্য নিজের চোট পাওয়া আঙুলের ভাঙা অংশ কেটে বাদ দিতেও দ্বিধা করেননি অস্ট্রেলিয়ার এই ফিল্ড হকি খেলোয়াড়।
শনিবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অলিম্পিক অভিযান শুরুর মাত্র ১৬ দিন আগে অস্ট্রেলিয়ায় অনুশীলনের সময় ডান হাতে হকি স্টিকের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ৩০ বছর বয়সি ডসন। ভেঙে যায় একটি আঙুল। এরপর একজন প্লাস্টিক সার্জনকে দেখালে তিনি জানান, স্বাভাবিক চিকিৎসায় সেরে উঠতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে অলিম্পিকে খেলার আশা ছেড়ে দিতে হবে ডসনকে।
পরে ওই চিকিৎসক জানান, বিকল্প হিসাবে চাইলে আঙুলের ভাঙা অংশ কেটে বাদ দিতে পারেন ডসন। সেক্ষেত্রে ১০ দিনের মধ্যে খেলায় ফিরতে পারবেন তিনি। স্ত্রী বাধা দিলেও সময় নষ্ট না করে সেদিনই চিকিৎসককে আঙুলের ভাঙা অংশ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন ডসন। তার কোচ ও সতীর্থরা চমকে গেলেও শেষ পর্যন্ত সফল অস্ত্রোপচারের পর ঠিকই দলের সঙ্গে প্যারিসে এসেছেন ডসন। এটি তার তৃতীয় অলিম্পিক।
২০২১ টোকিও অলিম্পিকে রুপা জিতেছেন। তারপরও প্যারিস অলিম্পিকে খেলার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টার ব্যাখ্যায় ডসন বলেন, ‘হতে পারে এটিই আমার শেষ অলিম্পিক। মনে হয়েছে, এখনো নিজের সেরাটা দেওয়ার বাকি আছে। সেটা দেওয়ার জন্য যদি আঙুলের অগ্রভাগ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়, তাই হোক।’