ছবি: সংগৃহীত
সর্বকালের সেরা ব্যাটারদের তালিকা করলে সেই তালিকায় অবধারিতভাবেই থাকবেন ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কিছু রেকর্ড গড়েছেন দু’জনে যে তাদের মধ্যে কে সেরা; সেই বিতর্ক হতে পারে। তবে লারা সেই বিতর্কে কাউকেই এগিয়ে রাখছেন না। তার মতে তিনি নিজে কিংবা শচীনের চেয়ে প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিলেন কার্ল হুপার।
কার্ল হুপার ওয়েস্ট ইন্ডিজর হয়ে ১৯৮৭ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মোট ১০২টি টেস্ট ও ২২৭ টি ওয়ানডে খেলেছেন। যেখানে তার রান যথাক্রমে ৫৭৬২ ও ৫৭৬১। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। নেতৃত্বের চাপে যেখানে ভেঙে পড়ে অনেকেই, সেখানে দলকে সামনে থেকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিতেন হুপার। যা মুগ্ধ করেছে লারাকে।
যা নিয়ে তাই লারা তার দেখা সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় বেছে নিয়েছেন হুপারকে। এ নিয়ে লারা বলেন, ‘কার্ল আমার দেখা সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। আমি বলব, টেন্ডুলকার বা আমি সেই প্রতিভার কাছাকাছিও যেতে পারিনি। কার্ল-এর ক্যারিয়ার থেকে ক্যাপ্টেন্সি সম্পূর্ণ আলাদা। নেতৃত্বে তার পরিসংখ্যান খুবই আলাদা। একজন অধিনায়ক হিসেবে তিনি ৫০ এর কাছাকাছি গড় রেখেছেন। তিনি দায়িত্বটি উপভোগ করেছিলেন। একজন অধিনায়ক হিসাবে তিনি তার প্রকৃত সম্ভাবনা ফুটিয়ে তুলেছিলেন।’
টেস্টে লারার এক ইনিংসে ৪০০ রানের রেকর্ড এখনও ভাঙতে পারেনি কেউ। তবে লারা মনে করেন এই রেকর্ডটি ভাঙতে পারে এমন ক্রিকেটার আছে দু’জন।
যা নিয়ে লারা বলেন, ‘আমার সময়ে এমন কিছু খেলোয়াড় ছিল যারা রেকর্ডটিকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, তারা ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছিল - বীরেন্দ্র শেবাগ, ক্রিস গেইল, ইনজামাম-উল-হক, সনৎ জয়সুরিয়া। তারা বেশ আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় ছিল। আজকে কতজন আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় আছে? ইংল্যান্ড দলে জ্যাক ক্রাওলি এবং হ্যারি ব্রুক। আর ভারতীয় দলে? যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিল। তারা যদি সঠিক পরিস্থিতি খুঁজে পায়, তাহলে তারা দু’জনেই রেকর্ড ভেঙে ফেলতে পারে।’