ছবি: সংগৃহীত
কোপা আমেরিকার ফাইনালে তখনও গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। উল্টো একের পর এক আক্রমণে আর্জেন্টিনার রক্ষণ কাঁপিয়ে দিচ্ছে কলম্বিয়া। এমন সময় প্রথমার্ধে চোট পেলেও ব্যথা নাশক স্প্রে দিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। চোট শঙ্কা থাকার পরও মাঠে নামেন দ্বিতীয়ার্ধে।
তবে এ দফায় খুব বেশি সময় মাঠে থাকতে পারেননি এই মহাতারকা। ৬৪ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দলের এমন বিপদে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার বিষয়টি মানতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেসি। অঝোরে কান্না করতে দেখা গেছে মেসিকে। দেখা গিয়েছে চোটের কারণে গোড়ালি কতটা ফুলে গিয়েছিল মেসির। তবে শেষ পর্যন্ত মেসির চোখের জল বৃথা যেতে দেয়নি তার সতীর্থরা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে মেসির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন লাওতারো মার্তিনেজ। দলকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা শিরোপা।
ম্যাচের পর শিরোপা হাতে তোলার সময়ও খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে মেসিকে। যা মেসির খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছিল। তবে সেই শঙ্কা মেসি নিজেই দূর করেছেন। কোপা জয়ের পর নিজের চোট নিয়ে সমর্থকদের সুখবর দিয়েছেন মেসি।
নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মেসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমি ভালো আছি, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আশা করি শীঘ্রই মাঠে ফিরতে পারব, যা আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।’
কোপার ফাইনালে হাতাহাতিতে জড়িয়ে গ্রেফতার কলম্বিয়ার ফুটবল প্রধান
এদিন কোপা জয়ের পর মেসি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে আলাদা করে দুই বিদায়ী ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়া ও নিকোলাস ওটামেন্ডির প্রশংসা করেছেন।
মেসি বলেন, ‘কোপা আমেরিকা শেষ হয়ে গেছে। আমাদের যারা বার্তা এবং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। কোপা জেতায় আমি খুবই খুশি। কেননা, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছি। আর ফিদে (ডি মারিয়া) আমাদের ছেড়ে চলে গেছে আরেকটি কাপ নিয়ে। তার মতো বয়স্করা, ওটা (ওটামেন্ডি) বা আমার অন্যান্য সতীর্থদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেছেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা যোগ করেছেন তাদের ধন্যবাদ। এছাড়াও একদল তরুণ যারা প্রতিটি বলেই তাদের সব দিয়ে দেয়। এটা এমন একটা দল এবং পরিবার, যা দর্শনীয়। যারা আমাদের সমর্থন করেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। এই দলের একটি দুর্দান্ত বর্তমান এবং একটি দুর্দান্ত ভবিষ্যতও রয়েছে। আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাও।’