ফাইনালে ৫ ব্রাজিলিয়ান, দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টাইন সমর্থকরা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
আরও একটি কোপা আমেরিকা শিরোপা থেকে এক ম্যাচ দূরে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তে ভক্তরা অপেক্ষায় মেসির হাতে আরও একটি শিরোপা দেখার। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬ টায়। মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।
ফাইনাল ম্যাচ সামনে রেখে যখন অপেক্ষার ক্ষণ গুনছে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তখন ম্যাচ পরিচালনাকারীদের দিকে তাকালে খানিকটা দুশ্চিন্তায় হতে পারে আর্জেন্টাইনদের। কেননা, এই ম্যাচটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের পাঁচ রেফারি। প্রধান রেফারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্রাজিলের রাফায়েল ক্লাউসকে। যা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।
প্রধান রেফারি ক্লাউসের সহকারীর দায়িত্ব পাওয়া সাইড রেফারি দুজনও ব্রাজিলিয়ান। তারা হলেন ব্রুনো পিরেস ও রদ্রিগো কোরেয়া। এর বাইরে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি হিসেবেও আছেন দুই ব্রাজিলিয়ান। সরাসরি ভিএআরের দায়িত্ব পালন করবেন ব্রাজিলের রডোলফো টস্কি। এ কাজে তাকে সহায়তাকারী হিসেবে আছেন ব্রাজিলিয়ান দানিলো মানিস। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম রেফারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্যারাগুয়ের হুয়ান বেনিতেজ ও এদুয়ার্দো কারদোজাকে।
ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা ভাবছে পাকিস্তান
প্রধান রেফারি ক্লাউসের অবশ্য রেফারিংয়ে বেশ খ্যাতি রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়মিত রেফারিং করছেন তিনি। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেও দুটি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। পাশাপাশি এবার কোপা আমেরিকাতেও ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি।
এর বাইরে ক্লাউস এ পর্যন্ত কলম্বিয়ার তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। যেখানে এক জয়, এক ড্র ও এক হার রয়েছে কলিম্বিয়ার। যার সবশেষ ম্যাচটি আবার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। যেখানে ক্লাউসের অধীনে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যদিও সেই হারের পর আর কোনো ম্যাচ হারেনি কলম্বিয়া। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ২৩ বছর পর কোপা আমেরিকার ফাইনালে পা রেখেছে দলটি। স্বপ্ন দেখছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের।
অবশ্য ক্লাউসকে নিয়ে খানিকটা ভয়ও পেতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। কেননা, ২০২২ সালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল ক্লাউসের এক সিদ্ধান্তে। ওই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। এরপর যোগ করা সময়ে ইকুয়েডরের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান ক্লাউস। যেখান থেকে গোল করে আর্জেন্টিনার জয় রুখে দেয় ইকুয়েডর। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ সমতায়।