টেস্ট ক্রিকেটের আদি ফরম্যাটে অভিষেকেই অনন্য নজির গড়লেন ইংলিশ পেসার গাস অ্যাটকিনসন। লর্ডসে অভিষেকে চতুর্থ বোলার হিসেবে ইনিংসে ৭ উইকেট শিকারের নজির গড়লেন অ্যানকিনসন।
ঐতিহ্যবাহী লর্ডসে অভিষেকে এর আগে ১৯৪৬ সালে ভারতের বিপক্ষে এই নজরি গড়েন ইংলিশ তারকা পেসার অ্যালেক বেডসার। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ান তারকা পেসার বব ম্যাসি এই নজির গড়েন। আর ১৯৯৫ সালে ইংলিশ তারকা ডমিনিক কর্ক এই নজির গড়ে ছিলেন।
২৬ বছর বয়সি অ্যাটকিনসনের গতির শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফিরেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (৬), কার্ক ম্যাকেঞ্জি, অ্যালিক অ্যাথানাজে, জেসন হোল্ডার, জোশুয়া ডি সিলভা, আলজারি জোসেফ ও সামারা জোসেফ।
লর্ডস টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ৮৮ রান করা উইন্ডিজ এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে হারায় ৪ উইকেট। ৮৮ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ক্যারিবীয়রা।
এরপর দলীয় ১০৬ রানেই উইন্ডিজ হারায় আরও ২ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মিকাইল লুই। ২৪ রান করেন কাভেম হজ। এছাড়া ২৩ রান করেন লিক অ্যাথানাজে।
ক্যারিবীয় শিবিরে ব্যাটিংয়ে ধস নামান ইংলিশ পেসার অ্যাটকিনসন। তিনি ১২ ওভারে ৫ মেডেন সহ ৪৫ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন, ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস।
এই টেস্ট ম্যাচটি ইংলিশ তারকা পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ২২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছেন।
এই টেস্টে খেলেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ৪১ বছর বয়সি ইংলিশ পেসার অ্যান্ডারসন। তিনি টেস্টে ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম পেস বোলার হিসেবে ৭০০ উইকেট শিকার করেন। টেস্টে অ্যান্ডারসনের চেয়ে বেশি উইকেট আছে কিংবদন্তি স্পিনার শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধারান (৮০০) ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্নের (৭০৮)।