ভারতের হরভজন সিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব যে কিছুতেই থামার নয়। কোনো ব্যাপারে যদি পাকিস্তান জড়িয়ে যায়, তখন ভারতীয় ক্রিকেটারের মুখ ছোটে তরবারির মতো। এক মাসের ব্যবধানে আরও একবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন হরভজন ও কামরান আকমল।
জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হরভজনের সঙ্গে প্রথম দ্বন্দ্ব বাধে আকমলের। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলার সময় আর্শদীপ সিংকে নিয়ে বেঁফাস মন্তব্য করেন আকমল। হরভজন পরে তীব্র প্রতিবাদ জানালে ক্ষমা চেয়েছিলেন আকমল। দুই সাবেক ক্রিকেটারের আবার দেখা হয়েছে ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল)। চলতি সপ্তাহের শনিবার বার্মিংহামে ভারতীয় চ্যাম্পিয়ন ও পাকিস্তানি চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে আকমল ও হরভজনের। সামাজিকমাধ্যমে দ্রুত সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
হরভজনের সঙ্গে কী বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন আকমল।
স্থানীয় এক ইউটিউব চ্যানেলে আকমল বলেন, ‘আমি একটা ভুল করেছিলাম এবং সেটা নিয়েই কথা বলছিলাম তার সঙ্গে। আমি কখনোই কারও ধর্মকে আঘাত করে কথা বলার চিন্তাই করিনি (আর্শদীপের প্রসঙ্গ)। পরে আমি তার (হরভজন) সঙ্গে আলাপ করছিলাম বাবর আজমকে নিয়ে কৌতুক করায়। স্বীকার করে নিচ্ছি, বাবর ও ব্রায়ান লারার ক্লাস জীবনেও মিলবে না। তাদের তুলনা করার কোনো মানেও হয় না। তবে ক্রিকেটার হিসেবে কখনো আমাদের কৌতুক করা উচিত নয়। তিনিও বুঝতে পেরেছেন যে এটা করা উচিত হয়নি।’
এবার বাবরদের ফিটনেস নিয়ে মুখ খুললেন ইউনুস খান
বাবরকে নিয়ে হরভজনের কৌতুকের ঘটনা সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই। এক স্পোর্টস প্ল্যাটফরমে হরভজনকে প্রশ্ন করা হয়, কুমার সাঙ্গাকারা ও ব্রায়ান লারা এই দুজনের মধ্যে কাকে বেছে নেবেন তিনি (হরভজন)? উত্তরে হরভজন বলেছেন লারার নাম। পরের প্রশ্ন, লারা ও বাবর আজমের মধ্যে হরভজন কাকে বেছে নেবেন? হরভজন উত্তর দেবেন কীভাবে, তিনি তো হেসেই কুল পাচ্ছিলেন না।