এ যেন ফাইনালের আগে আরেক ফাইনাল! ইউরোর শেষ ষোলোতেই দেখা হয়ে যাচ্ছে আসরের অন্যতম দুই ফেবারিট ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের।
বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১০টায় ডুসেলডর্ফের মেরকুর স্পিয়েল-অ্যারেনায় মুখোমুখি হবে ইউরোপীয় ফুটবলের এই দুই জায়ান্ট।
অন্যতম ফেবারিট হিসেবে ইউরো শুরু করলেও গ্রুপপর্বে ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারানোর পর পোল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ফ্রান্স।
অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে থেকেও এক ম্যাচের বেশি জিততে পারেনি বেলজিয়াম। রোমানিয়াকে ২-০ গোলে হারাতে পারলেও স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে হার ও ইউক্রেনের সঙ্গে ড্র সমর্থকদের পীড়া দিয়েছে। হতাশাজনক পারফরম্যান্সে কেভিন দে ব্রুইনা-রোমেলু লুকাকুরা স্টেডিয়ামে সমর্থকদের দুয়োও শুনেছেন।
অন্যদিকে ফ্রান্সে ভুগেছে অধিনায়ক এবং দলের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে। প্রথম ম্যাচে খেলার সময় নাকে চোট পেয়ে ডাচদের বিপক্ষে মাঠে নামা হয়নি তার। অবশ্য শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে ফিরে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এক পয়েন্ট এনে দেন এমবাপ্পে।
গ্রুপপর্ব শেষ। এবার নকআউট পর্বের পালা। মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বেলজিয়ামের সঙ্গে মুখোমুখি দেখায় জয়ের দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে ফ্রান্স। বিশ্বকাপ এবং ইউরোতে এখন পর্যন্ত ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। এর মধ্যে ৬ বার জয়ের মুখ দেখেছে ফ্রান্স। ৩ বার শেষ হাসি ছিল বেলজিয়ামের মুখে, অন্য তিন ম্যাচ ড্র হয়।
একই ‘অপরাধে’ চার আর্জেন্টাইন কোচ নিষিদ্ধ
তবে শুধু ইউরোর পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে দেখা যাবে, ৫ ম্যাচের মধ্যে ২ জয় নিয়ে কিছুটা এগিয়ে বেলজিয়াম। ফ্রান্সের জয় একটি, অন্য দুই ম্যাচ ড্র।
ইউরোতে ফ্রান্সের বিপক্ষে পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকায় আত্মবিশ্বাসী হয়েই মাঠে নামবে বেলজিয়াম। দলটির কোচ দমেনিকো তেদেস্কোও বলছেন, নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ‘আমরা ম্যাচের শুরু থেকেই সাহসী হয়ে খেলতে চাই। শুরু থেকেই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে খেলতে হবে আমাদের।’
সমর্থকদের দুয়োধ্বনি নিয়ে খুব একটা ভাবতে চান না বেলজিয়ান কোচ, ‘সমর্থকরা যা চায় তা-ই করতে পারে। তারা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতেই পারে।’
এদিকে গ্রুপপর্বে ফ্রান্সের গড়পড়তা পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচকদের কথায় কান দিচ্ছেন না ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশম, ‘তাদের যদি (খেলা) ভালো না লাগে, তারা চ্যানেল পরিবর্তন করতে পারে।’
তবে ইউরোর মঞ্চে দে ব্রুইনা-এমবাপ্পেদের দ্বৈরথের পরতে পরতে যে রোমাঞ্চ মিশে থাকবে, তা মিস করতে না চাইলে আপনি ভুলেও চ্যানেল পরিবর্তন করবেন না।