ছবি: সংগৃহীত
ওভারে ৬ ছক্কায় ৩৬ রানের গল্প এখন পুরোনো। কাউন্টি ক্রিকেটে দুবার ওভারে ৩৮ রানও দেখা গেছে। তবে এবার সব ছাপিয়ে ওভারে ৪৩ রান দিয়ে বসেছেন ইংলিশ পেসার ওলি রবিনসন। সাসেক্স বনাম লেস্টারশায়ার ম্যাচে অভাবনীয় এই ওভার করেছেন তিনি।
লেস্টারের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ছিলেন লুইস কিম্বার। রবিনসন বল করতে এসে প্রথম বলেই ছক্কা হজম করেন। দ্বিতীয় বল করতে এসে নো বল করে বসেন রবিনসন। সে বলে চার হাঁকান কিম্বার। সাধারণত ক্রিকেটে নো বল হলে ব্যাটিং দল এক রান পায়, তবে কাউন্টি ক্রিকেটে যোগ হয় ২ রান। এর ফলে দ্বিতীয় বলেও ৬ রান পেয়ে যায় লেস্টার।
পরের তিন বলে ৪, ৬ ও ৪ রান সংগ্রহ করেন কিম্বার। পঞ্চম বল করতে এসে ফের নো বল করে বসেন রবিনসন। এই বলেও কিম্বার ৪ হাঁকানোয় ফের ৬ রান পেয়ে যায় লেস্টার। পরের বলে আবার ৪ হজম করেন রবিনসন। শেষ বল করতে এসে তৃতীয়বারের মতো নো বল করেন রবিনসন এবং সে বলেও চার মারেন কিম্বার। শেষ বলে ওঠে ১ রান।
আইসিসির বিরুদ্ধেই ফিক্সিংয়ের অভিযোগ!
অর্থাৎ, তিনটি নো বল মিলিয়ে রবিনসনের সেই ওভারের ৯টি বলে যথাক্রমে ৬, ২+৪, ৪, ৬, ৪, ২+৪, ৪, ২+৪ ও ১ রান ওঠে। এটাই এখন কাউন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে ওভার আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে ওভারের রেকর্ড এখনো নিউজিল্যান্ড স্পিনার বার্ট ভ্যান্সের দখলে। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে শেল ট্রফিতে ওয়েলিংটন বনাম ক্যান্টারবারি ম্যাচ এই অফ স্পিনার এক ওভারে দিয়েছিলেন ৭৭ রান। সে ওভারে ১৭টি নো বল করেছিলেন ভ্যান্স।