ছবি সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে আফগানিস্তান নিয়ে অভাবনীয় এক ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। আসরের সেমিফাইনালিস্ট হবে কারা? এ প্রশ্নে লারার চোখে আফগানিস্তান ছিল অন্যতম দাবিদার। লারার এমন মন্তব্যে পাত্তা দেননি অনেকেই। এবার অঘটনের জন্ম দিয়ে লারার সে ধারণাই সত্যি করেছেন রশিদ খানের দল।
বিশ্বকাপের আগে লারা শেষ চারের দল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান, ভারত ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। এরমধ্যে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদ পড়লেও টিকে গেছে আফগানিস্তান।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে লারা তখন বলেছিলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভালো করা উচিত। এই দলে অনেক তারকা ক্রিকেটার আছে এবং দল হয়ে খেললে তারা ভালো করতে পারে। ভারতীয় দল গঠনে অনেক জলঘোলা হলেও, তারা শীর্ষ চারে থাকবে। ইংল্যান্ডও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে উপভোগ্য সময় কাটায়, সমুদ্র সৈকতে ঘুরে এবং তারা সেমিফাইনালে থাকবে। চতুর্থ দল হিসেবে আমি দেখছি আফগানিস্তানকে। তাদের সেই সামর্থ্য আছে।’
মঙ্গলবার সেন্ট ভিনসেন্টে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ সাফল্য। ২০১০ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল আফগানরা। মাত্র চতুর্থবারের অংশগ্রহণেই সেমিফাইনাল খেলার স্বাদ পেল তারা।
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে লারাকে কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী মঞ্চে লারাকে নিয়ে রশিদ বলেন, ‘একমাত্র লোক যিনি আমাদের সেমিফাইনালে রেখেছিলেন তিনি ব্রায়ান লারা এবং আমরা তার কথা সঠিক প্রমাণ করেছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি তাকে বলেছিলাম, আমরা আপনাকে হতাশ করব না। আমরা এটার মধ্য দিয়ে করব এবং প্রমাণ করব যে আপনি সঠিক।’
গ্রুপপর্বে পূর্ণশক্তির নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শুরুতেই চমকে দেয় আফগানিস্তান। আর সুপার এইটের ম্যাচে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমির দৌড়ে এগিয়ে যায় নাভিন উল হকরা। আর আজ বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ চারে উঠে গেল জনাথন ট্রটের শিষ্যরা।