প্যাট কামিন্স এবং তাওহিদ হৃদয়। ছবি সংগৃহীত
প্যাট কামিন্সের হাত ধরে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। তাও বিশ্বমঞ্চে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৭ বছর পর! ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রেট লি। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বল এবং ২০তম ওভারের প্রথম বলে নিজের টানা তিন বলে তিনি ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মেহেদি এবং তাওহিদ হৃদয়কে। টানা তিন উইকেটের মধ্যে হৃদয়ের উইকেটকেই ‘সেরা’ বলছেন কামিন্স।
দুই ওভার মিলিয়ে হ্যাটট্রিক করার বিষয়টি নিজেরও খেয়াল ছিল না কামিন্সের। পরে জায়ান্ট স্ক্রিনেই সেটা দেখেন। হ্যাটট্রিকের তিন উইকেটের মধ্যে হৃদয়ের উইকেটের গুরুত্ব বেশি দেখছেন কামিন্স। ২৮ বলে সমান দুটি করে চার এবং ছক্কায় ৪০ রান করেন হৃদয়।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কামিন্স বলেন, ‘(হ্যাট্রটিক) নিয়ে আমার কোনো ধারণাই ছিল না, জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখলাম। (মার্কাস) স্টয়নিসও এসে বলল। ক্রিজে থিতু হওয়া ব্যাটার (হৃদয়) ছিল স্ট্রাইকে, বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিল। আপনি কখনও বলতে পারবেন না, (সেখান থেকে) কী হতে পারত। তাই সেটা বড় উইকেট ছিল। প্রতিপক্ষকে (অল্প রানে) আটকে রাখতে পারায় খুশি।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের হ্যাটট্রিক আছে আরও দুটি। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন অ্যাস্টন অ্যাগার এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন নাথান অ্যালিস। আর এরা দুজনই আজ ছিলেন একাদশের বাইরে।
‘বেঞ্চে থাকা অ্যাগার এবং এলিস এর আগে এই ফরম্যাটে হ্যাটট্রিক করেছেন। তাদের ক্লাবে যোগ দিয়ে ভালাে লাগছে। এমন কিছুর অংশ হতে পারা, এটা চমৎকার ক্লাব।’
বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার এইটের বাকি ম্যাচে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। তাদের পরের ম্যাচ ভারত এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
কামিন্স আরো বলেন, ‘লক্ষ্য ছিল জেতা এবং একই সাথে আমরা রান-রেটও ভালো করেছি। এখন বাকি ম্যাচেও এগিয়ে যাওয়ার গতি বজায় রাখতে হবে।’