নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং তাণ্ডবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২১৮ রান করেছে উইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ রানের মাইলফলক।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিক শ্রীলংকা। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে কেনিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২৬০ রানের পাহাড় গড়ে ছিল। ১৭ বছরেও তাদের সেই রেকর্ড অক্ষত আছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে চলতি আসরে দলীয় সর্বোচ্চ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া করে ৭ উইকেটে ২০১ রান। শ্রীলংকা ২০১/৬ রান করে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
মঙ্গলবার সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই তাণ্ডব চালাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান ক্যারিবীয় তারকা ব্যাটসম্যানরা।
প্রথম ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৮৫ রান। ১০ ওভারের খেলা শেষে সংগ্রহ ছিল ১১৩/২ রান। শেষ ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে উইন্ডিজ করে ১০৫ রান। ২০ ওভারের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২১৮ রান।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে রান আউট হয়ে ফেনের নিকোলাস পুরান। তার আগে ৫৩ বলে ৬টি চার আর দৃষ্টি নন্দন ৮টি ছক্কার সাহাযে করেন ৯৮ রান। রান আউট হয়ে যাওয়ার কারণে মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি পুরান।
এছাড়া ২৭ বলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ রান করেন ওপেনার জনসন চার্লস। ১৭ বলে দুই ছক্কায় ২৫ রান করেন শাই হোপ। ১৫ বলে দুই ছক্কা আর এক চারে ২৬ রান করেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৫ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে উইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। তারা নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে টানা জয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে পেছনে ফেলে দিয়ে সুপার এইটে উঠে যায়।
গ্রুপপর্বে আজ দুই দলের শেষ ম্যাচ। দুই দলেরই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ম্যাচ। আগের তিন ম্যাচে টানা জয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে দুই দল। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাাদে গ্রুপে পাঁচ দলের মধ্যে শীর্ষে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর দ্বিতীয় পজিশনে আছে রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: জনসন চার্লস, ব্রান্ডন কিং, নিকোলাস পুরান, শাই হোপ, রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), শেরেফানি রাদারফোর্ড, আন্দ্রে রাসেল, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, ওবেদ ম্যাককয়ে ও গুদাকেশ মতি।
আফগানিস্তান: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক) নূর আহমেদ, নাবিন উল হক ও ফজলহক ফারুকি।