রশিদ খান এবং আফগানিস্তান দল। ছবি সংগৃহীত
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দুর্বল উগান্ডাকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে আফগানিস্তান। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হতভম্ব করে দেয় পূর্ণশক্তির নিউজিল্যান্ড দলকে। কিউইদের হারিয়ে সুপার এইটের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় আফগানরা। আর তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে রশিদ খানের দল।
শুক্রবার ত্রিনিদাদে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনি। রান তাড়ায় ৭ উইকেট হাতে রেখে ১৫.১ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
ম্যাচ শেষে রশিদ খান বলেন, ‘পরের রাউন্ডের জন্য কোয়ালিফাই করতে পেরে দারুণ লাগছে। ছেলেরা প্রথম ম্যাচ থেকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। তারা জানে তাদের কী করতে হবে এবং তারা এটা দুর্দান্তভাবে করেছে, যা আমার জন্য আরও সহজ হয়ে গেছে।’
আফগানিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত শুরু এনে দিচ্ছেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬ বলে খেলেন ৮০ রানের ইনিংস। মূলত ওই ইনিংসেই চাপা পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
আর বোলিংয়ে ফজলহক ফারুকির পেসের গতিই বুঝতে পারছে না প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা। ৫ উইকেট তুলে প্রথম ম্যাচে উগান্ডাকে একাই ধসিয়ে দেন ফারুকি। দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে নেন ৪ উইকেট। আর আজ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ফারুকির শিকার ৩ উইকেট। ৩ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টে উইকেট শিকারের তালিকায় সবার উপরে এই পেসার।
ব্যাটে-বলে দলে এমন পারফর্মার থাকলে কাজটা যে সহজ হয়ে যায়, তারই প্রতিধ্বনি রশিদের কন্ঠে।
‘গুরবাজের মতো একজন খেলোয়াড় থাকা গুরুত্বপূর্ণ যে বিপজ্জনক বোলিংয়ের মোকাবিলা করতে পারে বা ফারুকির মতো একজন বোলার যে পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নিতে পারে। ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্মক হলে বোলার হিসেবেও আপনাকে আক্রমণাত্মক হতে হবে। বিশেষ করে যখন পিচগুলি আপনাকে সাহায্য করছে।’