মাহমুদউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামতেই কতশত স্মৃতি খেলা করে যাবে মাহমুদউল্লাহর মানসপটে। কারণ ডাচদের যে মাঠে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ, কিংসটাউনের সে আরনস ভেল স্টেডিয়ামেই যে প্রথমবার দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেটের পাট চুকিয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই আরনস ভেলে প্রত্যাবর্তন তাকে কিছুটা হলেও আবেগতাড়িত করবে।
আরনস ভেলে টেস্ট অভিষেকে ব্যাট হাতে খুব একটা ভালো না করলেও বল হাতে জাদু দেখিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন।
মাহমুদউল্লাহ মাঝে বোলিং করা কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে গত কয়েক মাসে আবার বোলিং শুরু করেছেন। কোটা পূরণ না করলেও অন্তত দুয়েক ওভার বোলিং করে মূল বোলারদের উপর চাপ কমাচ্ছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচেই বোলিং করেছেন। উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১৭ রান। শ্রীলংকা ম্যাচে করা একমাত্র ওভারে চার রানের বেশি খরচ করেননি। মাহমুদউল্লাহর অফস্পিন কিংসটাউনের উইকেট আজ কার্যকরী হতে পারে।
চলতি বিশ্বকাপে ব্যাটিংয়ে দুই ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। শ্রীলংকার বিপক্ষে তার ১৬ রানের কার্যকরী ক্যামিওতে ২ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও তার ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে দলের যখন জয়ের জন্য ২ বলে ৬ রান দরকার, তখন বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান। তার ২০ রানের ক্যামিও এ যাত্রায় বিফলে যায়, ৪ রানে হারতে হয় দলকে।
মাহমুদউল্লাহ সে ম্যাচের পর দেওয়া ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘ভাগ্য সহায় হয়নি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়েছি। যা ম্যাচটাকে এই জায়গায় এনেছে। আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। আমরা এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এগিয়ে যেতে হলে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়টা খুব করেই দরকার বাংলাদেশের। চেনা মাঠে মাহমুদউল্লাহরা আজ সুপার এইটের পথে এগিয়ে যাওয়ার রসদ পাবেন, এমনটাই প্রত্যাশা সমর্থকদের।