বাবর আফ্রিদির বিরোধে কানাডার সঙ্গেও হেরে যেতে পারে পাকিস্তান
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে হারের পর সামনে এসেছে পাকিস্তান দলের মধ্যে বিরোধের খবর। কানাডার বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ চলছে। এ সময়ে দলের ভেতরে চলমান এ কলহের খবর সামনে এনেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান। খবরে বাবর ও আফ্রিদির বিরোধের বিস্তারিত তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যমটি। দুজনের বিরোধ কি কানাডার বিপক্ষেও ডোবাবে পাকিস্তানকে- এ মুহূর্তে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, কদিন আগেও এ দুজনের বন্ধুত্ব এমন ছিল যে নেতৃত্ব পরিবর্তনের ব্যাপারে ভাবাও যেত না। অথচ বাবরকে সরিয়ে আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার পর বদলে গেছে সেই চিত্র। এরপর থেকেই দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।
খেলোয়াড়দের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে না। এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আর আপনি দেশের হয়ে খেলছেন। এ ধরনের খেলোয়াড়দের দেশে বসিয়ে রাখুন।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে অঘটন ঘটেছে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ১১৯ রানে থামিয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান, ৬ রানে হেরে গেছে। টানা দুই হারে পাকিস্তান এখন বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায়ের পথে। এমন পারফরম্যান্সের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে দলের খেলোয়াড়দের। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে অন্তর্কোন্দলের খবর সামনে আসার পর।
গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর বাবর আজম সব সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। তার জায়গায় টি–টোয়েন্টির অধিনায়ক করা হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। আফ্রিদির অধিনায়কত্বে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এরপর পিএসএলে আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন লাহোর কালান্দার্সও প্লে-অফ পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তী সময়ে পিসিবি বোর্ডের শীর্ষ পদেও আসে পরিবর্তন। এর জেরে গত ৩১ মার্চ আফ্রিদিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে আবারও দায়িত্ব দেওয়া হয় বাবরকে। সব মিলিয়ে দলের ভেতর তৈরি হয় অস্থির এক পরিবেশের।
ক্রিকেট পাকিস্তান জানায়, অনেক খেলোয়াড় প্রয়োজন ছাড়া নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করছেন না। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দলের খেলাতেও। এমনকি খেলোয়াড়দের এ বিভাজন বোর্ড কর্মকর্তাদেরও নাকি হকচকিত করে দিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, দলে অধিনায়ক হিসেবে বাবরের যে সম্মান পাওয়া উচিত, তা তিনি পাচ্ছেন না। প্রয়োজনের সময় খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তাও পাচ্ছেন না। ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে নাকি বাবর পছন্দ করেন না; কিন্তু অবসর ভেঙে ফেরার পর তাদের দলেও ডাকা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত দলের সমন্বয়ে প্রভাব ফেলেছে।
ধারাবাহিকভাবে বাজে পারফরম্যান্সের পরও শাদাব খান ও ইফতেখার আহমেদের সুযোগ পাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। দলের এমন বিশৃঙ্খল অবস্থার খবর নাকি পিসিবি আগে থেকেই জানত; কিন্তু বিশ্বকাপের কারণে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা।