নেপাল এবং শ্রীলংকা দল। ছবি সংগৃহীত
বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে পড়ার শংকায় শ্রীলংকা। শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও তাদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদলগুলোর দিকে। বিশেষ করে ‘ডি’ গ্রুপে শ্রীলংকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। আগামীকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল। এই ম্যাচটি বলা যায়, তাদের বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ নেপাল ম্যাচ হারলে সুপার এইট খেলতে সব সমীকরণই বাতিল হয়ে যাবে।
শ্রীলংকা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে হারে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে হার মানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে। শক্তির বিচারে নেপাল থেকেও এগিয়ে রয়েছে শ্রীলংকা। সুপার এইটের আশা টিকিয়ে রাখতে নেপাল ম্যাচ নিয়ে তাদের সব মনোযোগ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে এমনটাই জানিয়েছেন দলটির বোলিং কোচ আকিভ জাভেদ।
সংবাদ সম্মেলনে আকিভ বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের সবকিছু এ ম্যাচকে ঘিরে। আমরা শুধু একটি সুযোগ লুফে নিতে ব্যর্থ হয়েছি। যদি আপনি কাউকে বিচার করতে চান, তারা কেমনবোধ করছে বুঝতে চান, শুধু দেখেন তারা কেমন বল এবং ফিল্ডিং করেছে।’
আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় নেপালের মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা। ম্যাচটি হবে ফ্লোরিডার লডারহিলে। এই ভেন্যুতে কোনো ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই নেপালের। নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গেলেও শ্রীলংকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত পড়শি দেশটি। শ্রীলংকাকে হারানোর দৃপ্ত কণ্ঠই শোনা গেছে দলটির অধিনায়ক রোহিত পাউডেলের কণ্ঠে।
নেপালি অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচের আগে আমরা যে বিরতি পেয়েছি সেটা ভালো। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর বিশেষত এই সময়টা নিজেদের তৈরিতে বেশ কাজে দিয়েছে। এখানে আমরা তিন থেকে চারটি সেশন নেটে কাটিয়েছি এবং কালকে ম্যাচের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’