টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি নবম আসরে টানা দুই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
আজ কানাডা এবং আগামী রোববার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেও অন্যদের পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাবর আজমদের।
নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে মানসিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সেই চাপ সামলে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছেন বাবর আজমরা। তাদের রেস্তোরাঁয় যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় মেজাজ হারান সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ।
নিউইয়র্কের রেস্তোরাঁ বা শপিং মলে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। সেসব নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারালেন দলের সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ।
মঙ্গলবার কানাডার বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের আগে সংবাদ সম্মেলনে আজহার মাহমুদকে প্রশ্ন করা হয়- ‘টুর্নামেন্টে এমন বাজে পারফরম্যান্সের পরও ক্রিকেটাররা কিভাবে হোটেলে সময় কাটায়, শপিংয়ে যায়?’
এমন প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারান পাকিস্তানের সহকারী কোচ। আজহার মাহমুদ বলেন, ‘এক মিনিট। খেলার দিন আপনি কাউকে ঘুরতে দেখেছেন? ক্রিকেট খেলা হয় মাঠে। তার বাইরেও জীবন আছে। আপনিও তো সেখানে ছিলেন। আমি নিজে দেখেছি।’
পাকিস্তানের কোচ ওই সাংবাদিককে বোঝান আপনাকেও তো আপনার প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরতে পাঠায়নি।
পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘জানি, আমাদের দেশের মানুষ খুব আবেগপ্রবণ। আমি বলতে চাইছি, একটা বা দুটো হারে জীবন শেষ হয়ে যায় না। একটা ম্যাচ হারার পর হোটেলে ফিরে সবাই নিজেদের ঘরে থাকে। চার দেওয়ালের মধ্যে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। মানসিক বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। যেমন ভাবছেন, আমাদের ক্রিকেটারেরা মোটেও তেমন নয়। আমি ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেও কাজ করেছি। এমন পরিস্থিতিতে ওরা হয়তো একটু খেতে যায়। এটুকুই ওদের বিনোদন।’
এরপর প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা কি নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা মেনে চলেন? আজহার মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাকে বলুন, কে মেনে চলে না? এখন সব দলই এটা মেনে চলে। এটা এমন কিছু ব্যাপার নয়। হারলে এই প্রশ্নগুলো তোলা হয়। মনে হয় কিছুই বোধহয় মেনে চলা হয় না। আবার জিতলে এই প্রশ্নগুলো ওঠে না। মেনে না চললেও গুরুত্ব দেওয়া হয় না।’