যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা অনেকে বাঁকা চোখে দেখেছিলেন। লিটন-নাজমুলদের প্রতি সমর্থকদের বিশ্বাস না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ হেরে যাবে, ভাবেননি কেউ।
প্রথম মুখোমুখিতে পাঁচ উইকেটের দাপুটে জয়ে স্বাগতিকরা সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল। আজ তাদের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি। হিউস্টনে রাত ৯টায় দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
ছোট দলের বিপক্ষে হারা বাংলাদেশের জন্য এই প্রথম নয়। এর আগে নেদারল্যান্ডস, কানাডা, হংকং, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই বলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশ হারবে, কেউ ভাবেননি। বাংলাদেশের দুর্বলতা ব্যাটিংয়ে। যে বোলিং নিয়ে গর্ব করা হয় সেখানেও প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠতে পারেন না টাইগাররা।
মোস্তাফিজুর রহমান শেষ দুই ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন। অধিনায়ক নাজমুলকে নিয়ে যত প্রশংসা হোক, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তার দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে। পাওয়ারপ্লের প্রথম ছয় ওভার শেষ করতে পাঁচ বোলার ব্যবহার করেছেন নাজমুল। রিশাদ হোসেন প্রথম উইকেট এনে দিয়ে চারটি ডট বল দেন।
কিন্তু পরের ওভারে তাকে আনেননি অধিনায়ক। বোলার দ্রুত পালটানোর সুযোগ নিয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। প্রথম ম্যাচে ১৬ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রান ছিল ৯৯। এরপরও ১৫৪ তাড়ায় তিন বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটে জেতে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। ব্যাটাররা ভালো শুরুর পর দ্রুত কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলে। পরের ম্যাচে উন্নতি করার চেষ্টা করব। এই ম্যাচে যে ভুলগুলো হয়েছে তার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো খেলিনি তাই হেরেছি। সবাই চেষ্টা করেছে কিন্তু দিনটা আমাদের ছিল না। সামনের ম্যাচে ভালো করার চেষ্টা করব। আশা করি, জয়ে ফিরব।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, নেপাল, শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের পর গ্রুপটা শক্তিশালী মনে হচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে সামলানোই বাংলাদেশের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ।