ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর অফিসে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের সাথে যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। শিক্ষা, স্বাস্থ্য বাণিজ্য কৃষি শিল্প ও অবকাঠামোসহ অন্যান্য সব সেক্টরের ন্যায় ভারত সরকার দুই দেশের যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশেরই একটি বড় অংশ তরুণ জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০০ জনের যুব প্রতিনিধি দল ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ভারত সফর করে থাকে। তারা ভারতের গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে। ভারত যুব প্রতিনিধি দলের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সরকারি কর্মকর্তারা ভারতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। এছাড়া ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভারতে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছে। আমরা দুই দেশের মধ্যে বৃহৎ পরিসরে যুব বিনিময় কর্মসূচি গ্রহণ করতে চাই।
এছাড়াও খেলাধুলায়ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র দুটি আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে। স্পোর্টস মেডিসিন ও স্পোর্টস গুডস ম্যানুফ্যাকচারিং এ উভয় দেশ একসাথে কাজ করতে পারে।
এ সময়ে হাইকমিশনার যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হাইকমিশনারের ভারত সফরের আমন্ত্রণকে সাদরে গ্রহণ করে বলেন, নিঃসন্দেহ ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। ভারতের জনগণ বাঙালিদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের আখরে লেখা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ শক্ত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্পর্ক সমঅংশীদারিত্বের ও নায্যতার। দুই দেশের যুব সমাজের উন্নয়ন, পাশাপাশি ক্রীড়ার উন্নয়নে
উভয় দেশ তাদের অভিজ্ঞতা ও অর্জন ভাগাভাগি করতে পারে। বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ভারত হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।