গত বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে অস্ট্রেলিয়াকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্যাট কামিন্স।
পাশাপাশি তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে গিয়ে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া। বল হাতে বছরজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও কার্যকর কিছু অবদান রেখেছেন ৩০ বছর বয়সি এই পেসার। সব মিলিয়ে বর্ষসেরার স্বীকৃতি যেন অবধারিতই ছিল কামিন্সের জন্য।
২০১২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম পুরুষ ক্রিকেটার হিসাবে উইজডেনের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ মনোনীত হলেন কামিন্স। ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাকের ২০২৪ সালের সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। ক্রিকেটের অনেক ইতিহাসের দলিল এই অ্যালমানাকের ১৬১তম সংস্করণ এটি।
এবার মেয়েদের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ হয়েছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। কামিন্সের মতো সিভার-ব্রান্টও এই সম্মান পেলেন প্রথমবার। গত জানুয়ারিতে আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন এই দুজন।
উইজডেনের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্বীকৃতি বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের তালিকায় এবার জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা, মিচেল স্টার্ক ও অ্যাশলি গার্ডনার (নারী ক্রিকেটার) এবং ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুক ও মার্ক উড।
প্রথম নারী হিসাবে উইজেডেন লিডিং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের কারণে উইজডেন ট্রফি জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৬৩ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস তাকে এনে দিয়েছে এই সম্মান।