আমরা যখন আমাদের সন্তানদের নতুন পরিবেশে রাখি, ওদের কাছ থেকে তখন ভিন্ন কিছু আশা করতে পারি না।
একথা বলে নিক পোথাস বোঝাতে চাইছেন যে, বর্তমান বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা তরুণ এবং অনভিজ্ঞ। তাই তিনি সবাইকে ধৈর্যশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, সাকিব দলে প্রশান্তি ফিরিয়ে এনেছেন।
চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর প্রাক্কালে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ পোথাস বাস্তবতা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা কি চাইব হঠাৎ আমাদের শিশুরা বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠুক। এজন্যই তো তাদের স্কুলে পাঠানো হয়।’
তিনি আসলে বলতে চাইছেন যে, এখন বাংলাদেশ দলের যে ব্যাটিং ইউনিট রয়েছে, তারা তরুণ। চমৎকার একটা ইউনিট তারা। ‘দুবছর সময় দিন ওদের। তারপর দেখুন। একটু ধৈর্য ধরুন,’ বলেছেন তিনি।
সিলেটে প্রথম টেস্টে চারদিনে ৩২৮ রানের শোচনীয় হারের জন্য দায়ী স্বাগতিকদের ব্যাটিং ব্যর্থতা। দুই ইনিংসেই ২০০ রানও করতে পারেননি নাজমুল হোসেনরা। একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি মুমিনুল হকের।
পোথাস বলেন, ‘এখন যারা আছে, ওদের আগে ব্যাটারদের একটা অভিজাত গ্র“প ছিল। এখন আমাদেরকে পুনর্গঠন করতে হবে। অনুরোধ করব, একটু ধৈর্য ধরুন। এখন যারা আছে, এরা খুবই ভালো তরুণ খেলোয়াড়। ওরা খেলছে একটি অভিজ্ঞ দলের বিপক্ষে। সময় লাগবে শিখতে।’
ড্রেসিংরুমে তরুণরা চমৎকার পরিবেশ গড়ে তুলেছেন। পরস্পরের প্রতি তারা আস্থাশীল। এই উক্তির পর সহকারী কোচ পোথাসের মন্তব্য, ‘ওরা জেতার জন্য ক্ষুধার্ত। চট্টগ্রাম টেস্টে ভালো করতে চায়। সব সময় চায় ভালো খেলতে। চমৎকার একটা গ্র“প ওরা। ওদের মুখের হাসিই তা বলে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যারা কোচিং স্টাফে আছি, আমাদের কাজ হচ্ছে ওদের এই মেজাজ ধরে রাখা। আমাদের মধ্যে আবেগের কোনো স্থান নেই।’
চট্টগ্রাম টেস্টের মধ্য দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে পোথাসের মূল্যায়ন, ‘সাকিব ফেরায় দলে প্রশান্তি এসেছে। ওকে পাওয়া যে কোনো দলের জন্য ভাগ্যের বিষয়। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। ড্রেসিংরুমে তাকে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। ওর উদ্যম সংক্রামক। ওর অভিজ্ঞতা থেকে তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে। সাকিব যখনই ফেরে, নিজেকে উজাড় করে দেয়। ওর সান্নিধ্য আমরা উপভোগ করি।’