অ্যান্ডারসন
অনেক আগে থেকেই টেস্ট ক্রিকেটের সফলতম পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম পেসার হিসেবে সম্প্রতি তিনি ছুঁয়েছেন ৭০০ উইকেটের মাইলফলক। তবে ব্যক্তিগত এই অর্জন খুব একটা স্পর্শ করছে না ৪১ বছর বয়সি ইংলিশ তারকাকে। কারণ দলের পরাজয় যে তিনি ঠেকাতে পারেননি!
ভারতের বিপক্ষে ধর্মশালা টেস্টের তৃতীয় দিন গত শনিবার কুলদিপ ইয়াদাভকে ফিরিয়ে ৭০০ উইকেটের ঠিকানায় পৌঁছান অ্যান্ডারসন। ছেলের অর্জন গ্যালারিতে বসে দেখেন তার বাবা-মা। এই সংস্করণে তার আগে সাতশর ছোঁয়া পাওয়া দুজন বোলারই স্পিনার- শ্রীলংকার মুত্তাইয়া মুরালিদারান (৮০০) ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।
বিবিসির ‘টেলএন্ডার’ পডকাস্টে আলাপচারিতায় মঙ্গলবার অ্যান্ডারসন বললেন, মাইলফলক ছোঁয়া নিয়ে তার চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিলেন তার বাবা।
‘সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল এবং ছবির মতো সুন্দর একটি মাঠে এটি করতে পারা দারুণ ব্যাপার। আমার বাবাও এখানে ছিলেন, আমরা একসঙ্গে পান করেছিলাম, দারুণ ছিল। তিনি আমার চেয়ে বেশি রোমাঞ্চিত ছিলেন।’
‘যদি আমরা ম্যাচটি বা সিরিজ জিততাম, তাহলে হয়তো আমি আরও রোমাঞ্চিত বোধ করতাম। দীর্ঘ একটা সিরিজ ছিল, বুঝতে পারছি না আমি কেমন অনুভব করেছি।’
ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানে হারে ইংল্যান্ড। টানা চার ম্যাচ হেরে পাঁচ টেস্টের সিরিজ তারা হারে ৪-১ ব্যবধানে।
অ্যান্ডারসন বলেন, আমি মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমি ম্যাচ জিততে চাই।
তিনি বলেন, আমি খারাপ করছি না। অবশ্যই আমি সেরা ফর্মে আছি। আমার খেলা যে অবস্থায় আছে, আমি তাতে খুশি এবং আমি এখনও প্রতিটি দিন উপভোগের এবং নেটে আরও ভালো হওয়ার চেষ্টা করি। দলে আমার জায়গা নিশ্চিত নয়, তাই গ্রীষ্মে দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
অ্যান্ডারসনের ৬৯৯তম শিকার ছিলেন শুবমান গিল। সেদিন কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছিলেন দুজন। অ্যান্ডারসন জানালেন, কী কথা হয়েছিল তাদের মধ্যে।
‘তুমি কি ভারতের বাইরে রান পাও? আমি তাকে এমন কিছু বলেছিলাম এবং সে আমাকে বলেছিল, ‘(তোমার) অবসর নেওয়ার সময় হয়ে গেছে।’ এর দুই বল পরই আমি তাকে আউট করি।’