ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে পরাজয়ে শঙ্কিত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ২৭৯ রানের টার্গেট তাড়ায় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ে শঙ্কিত অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ৩২ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের জয় মাত্র একটি। ২০১১ সালে সেই জয় ধরা দিয়েছিল ব্রিসবেনে।
দেশের মাটিতে অসিদের বিপক্ষে কিউইরা সবশেষ টেস্ট জিতেছিল ১৯৯৩ সালে। ৩১ বছরের সেই খরা এবার কাটানোর আশা জাগিয়েছে তারা। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের তৃতীয়দিন শেষে স্মরণীয় এক জয়ের হাতছানি নিউজিল্যান্ডের সামনে।
প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানের লিড পাওয়া অস্ট্রেলিয়া রোববার চতুর্থ ইনিংসে ২৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চার উইকেটে ৭৭ রানে তৃতীয়দিন শেষ করেছে। জিততে হলে আরও ২০২ রান লাগবে তাদের। আর জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছয় উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ৩৭২ রানে থামার পর ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের তোপে মাত্র ৩৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়া হেনরি দ্বিতীয় ইনিংসে ফেরান দুই অসি ওপেনার স্টিভ স্মিথ ও উসমান খাজাকে। অভিষিক্ত সিয়ার্সের শিকার মার্নাস লাবুশেন ও ক্যামেরন গ্রিন।
এরপর পঞ্চম উইকেট জুটির প্রতিরোধে কোণঠাসা অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি ট্রাভিস হেড (১৭*) ও মিচেল মার্শ (২৭*)।
এর আগে দুই উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে তৃতীয়দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড দিনের শুরুতেই হারায় ৭৩ রান করা টম ল্যাথামকে। সেই ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ১২৩ রানের জুটিতে কিউইদের পথ দেখান রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল।
৫৮ রান করা মিচেলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হ্যাজলউড। একটু পর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রাচিনকে ৮২ রানে থামান প্যাট কামিন্স। শেষ দিকে স্কট কুগেলিন করেন ৪৯ বলে ৪৪ রান। মাত্র এক রানে শেষ তিন উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। কামিন্স চারটি ও নাথান লায়ন নেন তিন উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ১৬২।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ২৫৫।
নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ৩৭২ (ল্যাথাম ৭৩। উইলিয়ামসন ৫১, রাচিন ৮২, মিচেল ৫৮, কুগেলিন ৪৪। কামিন্স ৪/৬২, লায়ন ৩/৪৯)।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ৭৭/৪ (স্মিথ ৯, খাজা ১১, হেড ১৭*, মার্শ ২৭*। হেনরি ২/৩৭, সিয়ার্স ২/২২)।